বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আমরাও চালু করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এসবের মধ্যে থাকবে সিসি ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। যার মাধ্যমে সীমান্তের যেকোনো অপরাধ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট চালু করতে পারলে চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য অনেকাংশে কমে আসবে বলে দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে বেনাপোলের পুটখালি বিজিবি ক্যাম্প ও সীমান্ত এলাকা (চরের মাঠ) পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এ বছরে সীমান্তে কোনো মানুষ হত্যা হয়নি। এটি বাস্তবায়নে বিএসএফের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশাল সীমান্তের এতো পাহারা সম্ভব নয়। তারপরও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। ধরাও পড়ছে অনেকে।
কাঁটাতারের বেড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। বৈধভাবে গরু আসার কোনো বাধা নেই। কিন্ত অবৈধভাবে কেউ গরু আনলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি প্রথম পুটখালী সীমান্তের বিওপি ক্যাম্পে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি সাধারণ সৈনিকদের নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং সীমান্তের চোরাচালন, নারী শিশু পাচাররোধে নির্দেশনা দেন।
সৈনিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের সৈনিক। আমাদের সৈনিকরা আগের থেকে এখন অনেক বেশি টাকা বেতন পাচ্ছে।
আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। তখন আমাদের সৈনিকরা আমেরিক বা অস্ট্রেলিয়ার সৈনিকদের মত বেশি টাকা বেতন পাবে। তাই কোন সৈনিক যেন চোরাকারবারী ও নারী পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত না থাকে। এ আদের্শের পরও যদি কোনো সৈনিক তার দায়িত্ব অবহেলা করেন, তাহলে তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল ওয়াহেদুর রহমান, খুলনা সেক্টর কমান্ডার ইকবাল হোসেন, খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে.কর্নেল আরিফুর রহমান, অফস অফিসার লে. কর্নেল মাকসুদ প্রমুখ।