জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেছেন, ‘বিরোধী দলকে সংসদে আসার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা না এলে আমি কী করতে পারি!’
রোববার জাতীয় সংসদের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিরোধী দল সংসদে থাকলে তাদেরকেও সরকারি দলের সমান সুযোগ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মিডিয়া ভালো বলতে পারবে। তারপরও কেউ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনলে সেটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছাড়া অন্য কিছু নয়।’
তিনি সরকারি ও বিরোধী উভয় দলকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কেউ এক ইঞ্চি ছাড় দেবো না- এমন মানসিকতা নিয়ে কখনই সমঝোতা হয় না। একজনের চেহারা আর একজন দেখতে চান না- এর অর্থও আমি বুঝি না।’
এ ব্যাপারে উভয়কে এগিয়ে আসা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যুক্তি কারও কম নেই। আমি যুক্তি খণ্ডন করতে চাই না। আমি তাদের আলোচনায় বসার অনুরোধ জানাই।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহাল করলে বিএনপির সংসদে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংসদে এসে এ বিষয়ে বিল উত্থান করতে পারে। তাদের সে সুযোগ দেওয়া হবে।’
আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সঙ্কট দূর করার ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিব বানকি মুনের আহ্বানকে সুন্দর অবিহিত করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও তলোয়ার-বন্দুক দিয়ে শান্তি এসেছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। তলোয়ার বন্দুক সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে। পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে। শান্তি আনতে পারে না।’
স্পিকার রসিকতার সুরে বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, সরকার এবং বিরোধী দল তাদের যুক্তি দেশবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। সুবিধা না করতে পারলে তারা মনে হয় আলোচনায় বসবেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার এবং বিরোধী উভয় দলে কিছু কট্টর ও কিছু উদারপন্থী লোক রয়েছেন। আমি আশা করি সেই উদারপন্থীরা সমঝোতার উদ্যোগ নেবেন।’
স্পিকার হিসেবে তিনি কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আবারও রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘সংসদের চেয়ার থেকে নেমে যাওয়ার পর মনে হয় আমার চারআনাও মূল্য নেই। আমার কথা ক্যাডা হুনবো আর ক্যাডা হুনবো না…।’