বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে কুয়াকাটা মেগাবিচ কার্নিভাল শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় কুয়াকাটার পর্যটন মোটেল থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি সমুদ্র সৈকতের নির্দিষ্ট মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সেই মঞ্চ থেকেই পরে কার্নিভালের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য এ র্যালিতে জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আসম ফিরোজ, শরিয়তপুর-১ আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ এবিএম রহুল আমীন হাওলাদার ছাড়াও স্থানীয় এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে স্কাউটের বরিশাল অঞ্চল, মিডিয়া কাউন্সিল ফর ট্যুরিজম, রাখাইন কমিউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন এই র্যালিতে অংশ নেয়। এছাড়াও টুরিস্টি পুলিশের কয়েকজন চৌকস প্রতিনিধি এ র্যালিতে ছিলেন। আরো ছিলেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ‘সাগর কন্যায় স্বাগতম’,‘সুন্দর বনের দ্বারে স্বাগতম’ লেখা রঙ বেরঙের প্লে কার্ড নিয়ে র্যালি বের করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রথমবারের মত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় শুরু হওয়া এই কার্নিভাল চলবে ১৬ জানুয়ারি সোমবার পর্যন্ত।
এ কার্নিভালে প্রতিদিনই পর্যটকদের জন্য থাকবে নানান আনন্দ বিনোদনের ব্যবস্থা। গাইবেন দেশের র্শীষ স্থানীয় লোক সংগীত শিল্পী সালমাসহ আরো অনেকে। বিশেষ অনুষ্ঠানে নাচবেন চিত্র নায়ক ও নায়িকারা।
এসময় থাকবে বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, হাডুডু, ভলিবল, ঘুড়ি ওড়ানো, দাড়িয়াবান্দা, ওয়াটার বাইক, এটিভি রাইডস, বোট বোয়িং, বিচ লাইটিং, ক্যাম্পফায়ার, কুয়াকাটা-সুন্দরবন সি-ক্রুজিংসহ নানা আয়োজন। এছাড়াও ফুড ফেস্টিভাল ও মেলা চলবে প্রতিদিন। বিকাল পাঁচটায় লেজার শো ও ফানুস উড়ানো হবে। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেষ দিন ১৬ জানুয়ারি রাতে গাইবেন দেশের বিশিষ্ট ব্যান্ডদল এলআরবি।
এছাড়া বিশেষ আকর্ষন হিসেবে রয়েছে কচিখালী-কটকা-ফাতরারচর-সুন্দরবন নৌ ভ্রমন। উন্মুক্ত বিচ এলাকায় ফায়ার ক্যাম্পিং ও বার্বিকিউ পার্টি। এছাড়া পর্যটকরা ইচ্ছা করলেই তাবুকে রাত কাটাতে পারবেন।
দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য, রাখাইন সম্প্রদায়ের বৈচিত্রময় জীবনাচার, ঐতিহাসিক ‘কুয়া’, প্রাচীন আমলের নৌকা, বৌদ্ধমন্দির ও শতমুর্তির হিন্দু মন্দির ইত্যাদি বিষয়ে পরিচিত করার জন্যই এই কার্নিভালের আয়োজন।