‘হকাররা শুধু সন্ধ্যার পর ফুটপাতে পণ্য নিয়ে বসবে’-ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের এই সিদ্ধান্ত মানা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা।
গত ১১ জানুয়ারি হকারদের একটি সংগঠন হকার্স ফেডারেশনের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কর্মদিবসে হকাররা ফুটপাতে বসবেন না। মেয়র খোকন জানান, দিনের বেলায় মানুষের চলাচল যেন নির্বিঘ্নে থাকে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে অফিস ছুটির দেড় ঘণ্টা পর থেকে হকাররা পণ্য নিয়ে বসতে পারবে।
মেয়র সাঈদ খোকন হকার সংগঠনের সঙ্গে মত বিনিময়ে সুনির্দিষ্ট সময়ে হকার বসা ছাড়াও দুই হাজার ৫০৪ জন হকারকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন তাদের চাকরিরও ব্যবস্থা করা হবে।
তবে মেয়রের এই ঘোষণার তিন দিনের মাথায় বিক্ষোভ সমাবেশে হকার্স ইউনিয়নের নেতারা দাবি করেন, এই ২ হাজার ৫০৪ জনের তালিকা একটি আইওয়াশ মাত্র। তাদের দাবি, রাজধানীতে হকারদের সংখ্যা ১০ লাখ। পুনর্বাসন করলে করতে হবে সবাইকেই।
হকার্সদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, অন্য সবাই আইডি কার্ড পেলে হকাররা কেন পাবে না। হকাররা আইডি কার্ড পেলে ভুয়া হকার কমে যাবে। ‘হকারদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করে দেবেন না আপনারা, তারা কী করে খাবে? গরিবের ওপর জুলুম কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
হকারদের শৃঙ্খলার মধ্য আনতে তাদের আইডি কার্ড দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য হকার্স মার্কেট করে দিতে হবে। পাশাপাশি যেখানে কাস্টমার আছে, সেখানেই এই মার্কেট করতে হবে।’
তিনি মেয়রের উদ্দেশে বলেন, আজকে বিকাল ৫টার মধ্যে অন্যায় আদেশ প্রত্যাহার করে নেন। আর তা না করে যদি আপনারা বুলডোজারের পথ বেছে নেন তাহলে নগর ভবন ঘেরাও করে বসে থাকবো আমরা।
তিনি আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশন এখন আবার সাড়ে ৬টার পরে হকারদের বসার নামে নতুন ফন্দি করেছে। সাড়ে ৬টার পরে বসলে তাদের তো আধা বেলার রুজিও হবে না।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে দাবি আদায়ে প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে হকার্স ইউনিয়ন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাশেম কবিরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিক নেতা ও হকাররা উপস্থিত ছিলেন।