ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় খাবার হোটেলে মাত্রাতিরিক্ত মুল্য ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগে ছয়টি হোটেলকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও একজনকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-২ এর সহযোগীতায় শুক্রবার বিকেল ৪টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ আলী।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো গুলো হলো-নিউ হাজীর বিরিয়ানী অ্যান্ড কাবাব ঘর, হাজীর বিরিয়ানী অ্যান্ড নিউ স্টার কাবাব, নিউ নান্না বিরিয়ানী হাউজ, হাজীর বিরিয়ানী(১), হাজীর বিরিয়ানী-২ এবং শাহী কস্তুরী কাবাব অ্যান্ড বিরিয়ানী হাউজ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নোংরা ও অপরিচ্ছন্নভাবে খাবার প্রস্তুত ও ঝুটা খাবার পুনরায় বিক্রি, মেলায় নির্ধারিত মুল্যের তিন থেকে ৪ গুণ বেশিমুল্যে বিক্রি হচ্ছে। খাবার মেলা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও অধিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। নোংরা ও খোলা পরিবেশ ও অস্বাস্থ্যকর ভাবে খাবারও প্রস্তুত হচ্ছে। নির্ধারিত মুসক ব্যবহার করে খাবারের বিল নেয়ার বিধান থাকলেও টুকরো কাগজে বিল নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ছয়টি খাবার হোটেল থেকে প্রথমে ছয়জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে নিউ হাজীর বিরিয়ানী অ্যান্ড কাবাব ঘরের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে দেড় লাখ টাকা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড, হাজীর বিরিয়ানী অ্যান্ড নিউ স্টার কাবাবের মালিক মো. কাইছারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড, নিউ নান্না বিরিয়ানী হাউজের মালিক মিজানুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড, হাজীর বিরিয়ানীর-১ মালিক রুবেল হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড হাজীর বিরিয়ানীর-২ মালিক মো. রাশেদুলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড, শাব্বির হোসেনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং শাহী কস্তুরী কাবাব অ্যান্ড বিরিয়ানী হাউজের মালিক আলমগীরকে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।