তুরাগ তীরের অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

তুরাগ তীরের অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

তুরাগ নদীর উভয় তীরের অবৈধ স্থাপনা এখনো আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গাজীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এ তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদা পারভীন।

এর আগে গত ৯ নভেম্বর  ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তুরাগ নদীতে মাটি ভরাট ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার, তুরাগ ও টঙ্গি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বলা হয়। একইসঙ্গে ওই এলাকায় মাটি ভরাট এবং দখলে যারা যুক্ত তাদের নাম-ঠিকানা তালিকা করে গাজীপুর জেলা প্রশাসককে তিন সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ নির্ধারিত দিনে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে ওই প্রতিবেদনের বিরোধীতা করে আমরা আদালতকে বলেছি, যে সংশ্লিষ্টদের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী তুরাগ তীরে মাত্র ৯টি প্রতিষ্ঠান অবৈধ থাকতে পারে না। আদালত বিচারবিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশনা দেয়ার আর্জি জানাচ্ছি। পরে আদালত এই আদেশ দেন।

ওইদিনের আদেশ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে কি না তা যাচাই-বাচাই করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করার আদেশ দেয়া হয়েছে এবং আগামী ১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আরও জানান, ‘তুরাগকে মৃত্যু ঘোষণা সময়ের ব্যাপার’ শিরোনামে গত ৬ নভেম্বর একটি  ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ জস্বার্থে এক রিট আবেদন করে। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ এই আদেশ দেন।

আইন আদালত