বছরজুড়ে দীর্ঘ সময় অস্থির থাকলেও শেষ সময়ে এসে স্থিতিশীল দেশের পুঁজিবাজার। সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাজার মূলধন। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। বছরের শুরুতে ৩ থেকে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা লেনদেন হলেও শেষ সময়ে তা দাঁড়িয়েছে হাজার কোটি টাকায়। ফলে বছরের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।
বিশ্লেষনে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ডিএসই’র তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের লেনদেন ও টাকার পরিমাণ দুটোই বেড়েছে৷ ২০১৬ সালে ৩ হাজার ৪৯১ কোটি ২০ লাখ সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। যা টাকার অংকে ১ লাখ ১৯ হাজার ১৫৭ কোটি ১০ লাখ টাকা৷ গত বছরের তুলনায় ১৬ হাজার ১৭ কোটি ৩ লাখ টাকা বেশি। ২০১৫ সালে ২ হাজার ৬১০ কোটি ৬০ লাখ সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়। টাকার অংকে যার মূল্য ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ১৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা৷
এদিকে ২০১৬ সালে মোট লেনদেনের কার্যদিবস কমলেও বেড়েছে গড় লেনদেনের পরিমাণ। ২০১৬ সালে মোট ২৪১ দিন লেনদেন হয়৷ গড়ে ১৪ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়। যার টাকার অংকে গড়ে লেনদেনের পরিমাণ ৪৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা৷ বছরের ব্যবধানে তিন কার্যদিবস কমলেও গড় লেনদেন বেড়েছে ৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
২০১৫ সালে ২৪৪ কার্যদিবস লেনদেন হয় এবং গড়ে ১০ কোটি ৭০ লাখ সিকিউরিটিজ লেনদেন হয় এবং যার টাকার অংকে গড়ে লেনদেন ছিল ৪২২ কোটি ৭০ লাখ টাকা৷
একই সঙ্গে বছরের ব্যবধানে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৬২৯ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বছর শেষে ডিএসইএক্স মূল্যসূচক ৪০৬ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসই ৩০ সূচক ২০১৬ সালের শুরুতে ছিল ১ হাজার ৭৫০ পয়েন্ট। বছর শেষে ৬০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২০১৬ সালে ১ হাজার ১০৭ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বছরশেষে ৮৪ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৯১ পয়েন্টে।