বাংলাদেশে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক গাড়ির ৯০ শতাংশ ভারতীয় কোম্পানির দখলে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি ও নিটল মটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেন, তবে প্রাইভেটকার এখনও জাপানি কোম্পানির দখলে রয়েছে। গত ৩০ বছরেও ভারত এখানে সুবিধা করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইন্দো-বাংলা অটোমোটিভ শো-২০১৭ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মাতলুব বলেন, এক সময় বাংলাদেশে ব্যবহৃত সব ধরনের গাড়িতেই জাপানসহ অন্যান্য কোম্পানির আধিপত্য ছিল। পরবর্তীতে বাণিজ্যিক গাড়িতে নিটল টাটাসহ ভারতীয় কোম্পানি আধিপত্য বিস্তার করে। কিন্তু এখনও প্রাইভেটকারের ৯০ শতাংশ বাজার জাপানি কোম্পানির দখলে রয়েছে। কেননা ভারতীয় কোম্পানির চেয়ে জাপানি কোম্পানির গাড়ি অনেক ভালো। ২০ বছর ব্যবহার করেও এই গাড়ি বিক্রি করা যায়।
এসময় রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, অটোমোবাইল খাতে বাংলাদেশও ভালো করছে। আরও ভালো করার সক্ষমতা রাখে। কিন্তু সরকারি নীতি সহায়তার অভাবে এই খাতটি সেইভাবে বিস্তার করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ভেন্ডার ডেভেলপমেন্ট ছাড়া এই খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ভেন্ডার ডেভেলপমেন্ট করতে হবে।
দেশে গাড়ি তৈরির ইন্ডাষ্ট্রি নেই কেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাতলুব বলেন, দেশে যতদিন রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি হবে ততদিন গাড়ি তৈরির ইন্ডাষ্ট্রি গড়ে উঠবে না। তবে এ খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত একটি ভালো নীতিমালা গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। যার মাধ্যমে দেশিয় কোম্পানিগুলো আরও এগিয়ে যাবে।
প্রথমবারের মতো ভারত ও বাংলাদেশের অটোমোবাইল ও অটো-উপকরণ নিয়ে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু হতে যাচ্ছে ইন্দো-বাংলা অটোমোটিভ শো-২০১৭। দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবে অশোক লেল্যান্ড, বাজাজ অটো, আইশার ট্রাক্স অ্যান্ড বাসেস, হিরো মটরস, হোন্ডা মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, মারুতি সুজুকি, পিয়াজিও, রেনো, রানার অটোমোবাইলস, এস এম এল ইসুজু, টাটা মটরস, টি.ভি. এস মটরস, ইয়ামাহা। এছাড়া তাদের বাংলাদেশের সহযোগিরা যেমন- এসিআই মোটরস, আফতাব অটোমোবাইলস, বাংলাদেশ হোন্ডা, ইফাদ অটোস, কর্নফুলি, নিলয় মটরস, নিটোল মোটরস, রানার মোটরস, টিভিএস অটো বাংলাদেশ ও উত্তরা মোটরস।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনী উপলক্ষে রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় ফ্রি বাস সার্ভিস দেয়া হবে।