ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাবা শাহানূর বিশ্বাসের দুই পা হারানোর ঘটনায় রাষ্ট্রীয় খরচে তার সম্পূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেনে আদালত।
মঙ্গলবার স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করে দেন। গত ২২ নভেম্বর মামলার আসামিদেরকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ২৭ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করা হয়। ওই দিন সময় আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে আজ নির্ধারিত দিনে এই আদেশ দেয়া হলো।
মামলার আসামিদের গ্রেফতারে পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, কালীগঞ্জ থানার নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
২২ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দুই পা গেছে, এখন ভিটেছাড়া হওয়ার ভয়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে আদালত ওই আদেশ দেন।
গত ১৬ অক্টোবর সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামে বখাটেরা শাহানূর বিশ্বাসকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তিনি এখন রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন। পেশায় বর্গাচাষি শাহানূরের দুটি পা হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে।