‘এখনো তথ্য লুকিয়ে রাখার প্রবণতা বিদ্যামান’

‘এখনো তথ্য লুকিয়ে রাখার প্রবণতা বিদ্যামান’

golam-rahman-b20161127163419তথ্য ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেছেন, সমাজে এখনো তথ্য লুকিয়ে রাখার প্রবণতা বিদ্যমান। তথ্য যতো সমৃদ্ধ হবে ততই জনগণের উন্নয়ন হবে। তথ্যের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসনের মিলনায়তনে তথ্য কমিশন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন প্রধান তথ্য কমিশনার।

অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি দফতরের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। প্রশাসনের কাজগুলো জনগণের জন্য। জনগণ যেকোন সময় তাদের প্রয়োজনে তথ্যগুলো জানতে চায়। তাদের জানার ফলে স্বচ্ছতা তৈরি হয়। দেশের নাগরিকদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পায় এবং সুশাসন নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস পায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার, তথ্য কমিশনের পরিচালক (প্রশাসন) মুহিবুল হোসাইন, তথ্য সচিব রফিকুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, উপ-উপাচার্য ড. শিরীন আক্তার, প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকসহ দেড় শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।

প্রথমদিন শিক্ষকদের জন্য এবং আগামীকাল শেষ দিন সাংবাদিকদের জন্য দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

ক্যাম্পাস