নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ চবির শাটল ট্রেন চলাচল

নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ চবির শাটল ট্রেন চলাচল

14কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে তার অনুসারীরা। এর ফলে গত দুইদিন সিডিউল বিপর্যয়ের শিকার শাটল ট্রেনটি।

এর পাশাপাশি ট্রেনে ভাঙচুর ও ট্রেন সংশ্লিষ্টদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেছে দিয়াজের অনুসারী নেতাকর্মীরা। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ষোলশহর স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, গত দুই দিনের ঘটনা প্রবাহে রেলের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারো চলাচল শুরু করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু কাইজার রনি জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দিয়াজ ভাই আত্মহত্যা করতে পারেন না। এ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আমরা মানি না। যতদিন পর্যন্ত সুষ্ঠু তদন্ত হবে না ততদিন আন্দোলন চলতে থাকবে।

এদিকে, সকাল থেকে ট্রেন চলাচল না করায় বিশ্ববিদ্যালয়গামী হাজারো শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেক বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত ক্লাস পরীক্ষা থাকায় তাদের বিকল্প উপায়ে বাসে আসতে হচ্ছে। এ সুযোগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

অন্যদিকে, শহর থেকে শিক্ষকদের আনতে যাওয়ার পথে `চট্টমেট্রো-ট ১১০৭` শিক্ষক বাসের মাসুদ ও মনির নামে চালক এবং তার সহযোগীকে তুলে নিয়ে গেছে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। ফতেয়াবাদের জামতল এলাকায় সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তারা আরো ৫/৬টি বাসের চাবিও নিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতরের প্রশাসক ড. শফিউল আযম জাগো নিউজকে বলেন, চালক ও সহযোগীর সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে তারা সুস্থ আছে। তাদের এক জায়গায় বসিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত শহর থেকে কোনো শিক্ষক বাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, আমি ব্যস্ত আছি। ট্রেন বন্ধ থাকার বিষয়টি জানি না। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ক্যাম্পাস