ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য যথাযথ ব্যবস্থাপনায় সংগ্রহ ও আবার ব্যবহারের মাধ্যমে বছরে ৩০০ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এমনই তথ্য জানানো হলো ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলোর একটি ধারণাপত্রে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটির অষ্টম ব্যাচের রাজনৈতিক ফেলো সুলতানা জেসমিন জুঁই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি একটি ধারণাপত্র প্রকাশ করে জানান, নগরীতে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদিত হয়, সিটি কর্পোরেশনের মতে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন হলেও বিশ্বব্যাংকের মতে এটি প্রায় সাড়ে সাত হাজার টন।
এর মধ্যে কম্পোস্ট উপযোগী ৭৬ শতাংশ। দৈনিক ৫৬০ গ্রাম মাথাপিছু বর্জ্যের ৪০০ গ্রাম কম্পোস্ট উপযোগী বর্জ্য থেকে ১৫০ গ্রাম সার পাওয়া সম্ভব, যার আর্থিক মূল্য এক টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ বছরে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।
তিনি বলেন, সরকার ও ব্যক্তি মালিকানায় সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি সারাদেশে এই কম্পোস্টের উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হ্রাস পাবে মানবদেহে রাসায়নিক সারের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরো পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২০০ জন মানুষের প্রতীকী একটি গণস্বাক্ষরসহ প্রতিবেদনের আলোকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সুপারিশ দুই সিটি কর্পোরেশনে জমা দেওয়া হয়েছে।
সুলতানা জেসমিন জুঁই বলেন, সরকারের বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীসহ অন্যান্য পরিবেশবাদী সংগঠনের সহযোগিতা নিয়ে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার বিপরীতে সাধ্যের মধ্যে নিরাপদ ও অতি প্রয়োজনীয় একটি পরিকল্পনা হতে পারে এই জৈব সারের ধারণা। কেননা এতে হ্রাস পাবে আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর হবে আমাদের প্রিয় রাজধানী ঢাকা। অন্য দিকে তৈরি হবে কর্মক্ষেত্র, সচল হবে অর্থনীতির চাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি ডিরেক্টর মোহম্মাদ এহসান, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক সালমান সালেহীন অর্ক প্রমুখ।