পিইসি পরীক্ষা শুরু রোববার : কমেছে ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী

পিইসি পরীক্ষা শুরু রোববার : কমেছে ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী

12প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার (২০ নভেম্বর)। পিইসি পরীক্ষা চালুর পর থেকেই প্রতি বছর পরীক্ষার্থী বাড়লেও এবার ছন্দপতন হয়েছে। মন্ত্রণালয়য়ের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় সাড়ে ত্রিশ হাজার।

পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান পরীক্ষার সার্বিক দিক তুলে ধরবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পিইসি পরীক্ষা চালুর পর থেকেই প্রতি বছর পরীক্ষার্থী বাড়লেও এবার প্রায় সাড়ে ত্রিশ হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে। এ বছর প্রাথমিক সমাপনীতে মোট ৩২ লাখ ২৪ হাজার ২৮৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৫৭৩ জন এবং ইবতেদায়িতে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৫ জন জন। ২০১৪ সালের চেয়ে গত বছর ১ লাখ ৯৮ হাজার বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে এবছর পরীক্ষার্থী কমেছে ৩০ হাজার ২২৬ জন।

২০১৫ সালে দুই পরীক্ষায় মোট ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৪ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩ এবং ইবতেদায়িতে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫১জন। ২০১৪ সালে উভয় পরীক্ষায় মোট ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৮০৯ জন নিবন্ধন করে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ জন এবং ইবতেদায়িতে তিন লাখ ১১ হাজার ২৬৫ জন। এর আগের বছর উভয় পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৯ লাখ ৫০ হাজার ১৯৩ জন। এর মধ্যে প্রাথমিকে ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৬ জন এবং ইবতেদায়িতে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৮৭ জন।

জানা গেছে, এবার সারাদেশে প্রায় ৭ হাজার ১৮১টি এবং বিদেশে ১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। পিইসি ও এবতেদায়ী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র গত বছরের মতো এবারো একাধিক সেটের মাধ্যমে নেওয়া হবে।

পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরীক্ষা শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, জেলা ও উপজেলা পর্যায় একটি করে কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা কার্যক্রম তদারকি, সমন্বয় ও মনিটরিং করার জন্য ৬৪টি জেলার জন্য ৬৪টি ভ্রাম্যমাণ টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ৩১ জন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩৩ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। পরীক্ষা চলাকালিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এরই মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার হলে কোমলমতি শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন ডাক্তার/স্বাস্থ্য সহকারী উপস্থিত থাকতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষে ২৭ অথবা ২৮ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। এবছর পিইসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৪৯ হাজার ৫শ জনকে সাধারণ কোটায় বৃত্তি দেওয়া হবে। ইবতেদায়িতে ট্যালেন্টপুলে সাত হাজার ৫শ ও সাধারণ কোটায় ১৫ হাজার জনকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।

ক্যাম্পাস