গিয়াস উদ্দিন মাদবর। বয়স ৪০। বাবা মৃত. আদম আলী মাদবর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ভক্ত। আদম আলী মাদবর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর নামটি তার আদরের সন্তান গিয়াস উদ্দিন মাদবরের বুকে খোদাই করে লিখে দিয়ে যান। আর খোদাই করা বঙ্গবন্ধুর নাম এবং তার আদর্শ ৪০ বছর ধরে বুকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন মাদবর।
জানা যায়, শরীয়তপুরে ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কানাইকাঠি গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মাদবরের বাবা আদম আলী মাদবর মুক্তিযুদ্ধ করেননি। তবে নিজ গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধের পর থেকেই একনিষ্ঠ ভক্ত বনে যান আদম আলী। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে নিজের মৃত্যুর আগে ছেলে গিয়াস উদ্দিন মাদবরের বুকে ‘বঙ্গবন্ধু’র নামটি লোহা আগুনে পুড়ে খোদাই করে লিখে যান।
গিয়াস উদ্দিন মাদবর জানান, বাবা আমাকে বলেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম স্বর্ণের উপর লিখলে চোরে নিয়ে যেতে পারে। কাগজে লিখলে হারিয়ে যেতে পারে। তাই বাবা আমার বুকে লিখেছেন। যাতে যতদিন বেঁচে থাকবো তার মাঝে আমার স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামটি বেঁচে থাকবে।
এ নিয়ে আমার কোনো কৌতূহল নেই। তবে যখন জেনেছি এটি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনকের নাম তখন থেকে গর্ববোধ করি। খোদাই করার সময় আমি কষ্ট পেলেও আমার বাবার এ কাজের জন্য আজ আমি গর্বিত, খুব আনন্দিত। আমার জন্য না আমার বাবার অতীতকে আমার বুকে ধারণ করে আমি মৃত্যুবরণ করতে পারবো এটাই আমার বড় পাওয়া।
মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। ছিলেন তার জন্য পাগল। আদম আলী মারা যাওয়ার সময় যে কাজটি করে গেছে তা সত্যিই সাহসিকতার কাজ।
ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন ঢালী বলেন, গিয়াস উদ্দিন মাদবর আমাদের জাতির জনকের নাম বুকে ধারণ করে রেখেছেন। শোনার পরপরই আমাদের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক সাহেবকে জানিয়েছি। তিনি গিয়াস এর সঙ্গে কথা বলবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।