সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার পরও সিটিসেলকে কেন তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি তা দুপুরের মধ্যে বিটিআরসিকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের শর্তে সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ অবিলম্বে খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
ওই দিন আদালত একইসঙ্গে সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির পাওনা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর সিটিসেল বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি, এই অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর সিটিসেলের কার্যক্রম (স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ) স্থগিত করে দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে ২৫ নভেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে সিটিসেল।
বিটিআরসি দাবি করছে, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যদিও এই পাওনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি রয়েছে।
বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাওনা টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ এবং অবশিষ্ট টাকা দুই মাসের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সিটিসেল তাদের হিসেব মতে বকেয়া টাকার মধ্যে ১৩০ কোটি বিটিআরসিকে এবং ১৪ কোটি টাকা এনবিআরের খাতে জমা করে। কিন্তু বিটিআরসি দাবি করে প্রথম কিস্তির টাকার অঙ্ক ৩১৮ কোটি টাকা। টাকার অঙ্ক নিয়ে দুই পক্ষের এই মতবিরোধের মধ্যে বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করে দেন। এ পরিস্থিতিতে তরঙ্গ বরাদ্দ ফিরে পেতে সিটিসেল আপিল বিভাগে আবেদন করে।