যুক্তরাষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেলেও জাতীয় জরিপে অগ্রগামিতা ধরে রেখেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের সর্বশেষ জরিপের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছে হিলারি।
৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এর মাত্র কয়েকদিন আগে ৩০ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত করা এই মতামত জরিপে, ৪৪ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটার হিলারির পক্ষে এবং ৩৯ শতাংশ ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিবেন বলে জানিয়েছেন।
এই জরিপে দেখা গেছে, সপ্তাহজুড়ে হিলারির অগ্রগামিতা ৪ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত উঠানামা করেছে। তবে অন্যান্য মতামত জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রমেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রূপ নিচ্ছে।
জাতীয় জরিপগুলোর গড় করে প্রকাশ করা রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকসের হিসাব অনুযায়ী, হিলারির অগ্রগামিত গত সপ্তাহের পাঁচ শতাংশ পয়েন্ট থেকে হ্রাস পেয়ে শুক্রবার দুই পয়েন্টেরও নিচে নেমে গেছে।
এটা অনেকটা ২০১২-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে মতো অবস্থা। ওই সময়ে নির্বাচনের আগের চূড়ান্ত দিনগুলোতে রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে দেখা গিয়েছিল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকান মিট রমনির চেয়ে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বারাক ওবামা তিন থেকে সাত শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
ওই সময় রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকস্ দেখিয়েছিল, নির্বাচনের আগে ওবামার অগ্রগামিতা প্রায় নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরপরও জনপ্রিয় ভোটে চার শতাংশ অগ্রগামিতা নিয়ে ওবামা পুনর্নির্বাচিত হন।
জাতীয় জরিপে অগ্রগামিতা সত্বেও অঙ্গরাজ্যগুলো ধরে করা আলাদা জরিপে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে হিলারি আগের অবস্থান হারিয়েছেন।
রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং মিশিগান অঙ্গরাজ্যে হিলারি আগের অবস্থান হারিয়েছেন এবং ট্রাম্পের সঙ্গে তার লড়াই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠছে।
দোদুল্যমান এই অঙ্গরাজ্যগুলো ভোটাররা রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেট, যে কোনো দিকে ঝুঁকে পড়তে পারেন এবং এখান থেকেই নির্ধারিত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন।