এবার অর্ধশত পৌরসভায় নির্বাচনের প্রস্তুতি ইসির

এবার অর্ধশত পৌরসভায় নির্বাচনের প্রস্তুতি ইসির

1780এবার অর্ধশত পৌরসভায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম দফায় ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচন শেষে দ্বিতীয় দফায় এসব পৌরসভায় নির্বাচন করতে চায় ইসি। এজন্য সম্ভাব্য পৌরসভাগুলোর তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কমিশন বৈঠকে এসব এলাকায় নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

ইসির সহকারী সচিব মো. রাজীব আহসান বলেন, এবার  ৪৮টি পৌরসভায় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কিছু পৌরসভায় মামলা থাকায় সেগুলোতে নির্বাচন করা যাচ্ছে না। তাছাড়া এর মধ্যে দুটি পৌরসভায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ পুনঃবিন্যাসের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে এগুলো একধাপে না কয়েক ধাপে নির্বাচন করা হবে তা কমিশন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।

ইসি সূত্র জানায়, সারাদেশের ৩২৩টি পৌরসভার মধ্যে ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি ৮৯টির মধ্যে ৩৮টি পৌরসভায় দীর্ঘদিন থেকে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এখনই নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কয়েকটিতে আগেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ৪৮টি পৌরসভায় বিভিন্ন সময়ে মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। কমিশনের নির্দেশে এসব পৌরসভার তালিকা করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। কমিশন সভায় অনুমোদন দিলে নির্বাচনের জন্য তফসিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিভিন্ন মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া নির্বাচন যোগ্য ৪৮টি পৌরসভা হচ্ছে- ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, ভোলার চরফ্যাশন, চাঁদপুরের সদর ও শাহরাস্তি, রংপুরের হারাগাছা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর, বাঞ্চারামপুর ও কসবা, ঝালকাঠী সদর, নোয়াখালীর সদর, সোনাইমুড়ী, কবিরহাট ও সেনবাগ, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, ফরিদপুরের ভাংগা ও মধুখালী, কক্সবাজারের সদর, চকরিয়া, টেকনাফ ও মহেশখালী, ফেনীর সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া, খাগড়াছড়ির রামগড়, নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও রায়পুরা, পাবনার আটঘরিয়া, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, নীলফামারীর ডোমার, পটুয়াখালীর গলাচিপা ও বাউফল, নড়াইলের লোহাগড়া, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, বাসাইল ও এলেঙ্গা, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও কালীগঞ্জ, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালী, বগুড়ার তালোড়া, দুপচাঁচিয়া, নারায়ণগঞ্জের গোপালদী, কাঞ্চন ও আড়াইহাজার ও মাদারীপুরের রাজৈর।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এ বলা আছে, পৌরসভা গঠনের পর প্রথমসভার তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত উক্ত পৌরসভার মেয়াদ থাকবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনে উল্লেখ রয়েছে, পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে মেয়রদের পদত্যাগ করতে হবে।

গতবছর ১৭ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সারা দেশের পৌরসভাগুলোর আলাদা তালিকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভার তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। সর্বশেষ নির্বাচনের তারিখ, প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ ও মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ দিয়ে ৩২৩টি পৌরসভার তালিকা দেয় সরকার। এরমধ্যে ২০১১ সালে জানুয়ারিতে ২৪০টি পৌরসভার ভোট হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ব্যাপক অনিয়ম ও সহিংসতায় মধ্য দিয়ে দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোট হয়। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২০টি দল এবারের পৌর নির্বাচনে অংশ নেয়। এতে আওয়ামী লীগের ২৩৪, বিএনপি ২২৩ ও জাতীয় পার্টি ৭৪ প্রার্থীসহ ৯৪৫ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর