উড়ালের অপেক্ষায় ‘মেঘদূত’ ও ‘ময়ূরপঙ্খী

উড়ালের অপেক্ষায় ‘মেঘদূত’ ও ‘ময়ূরপঙ্খী

`1723বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়েছে ‘মেঘদূত’ ও ‘ময়ূরপঙ্খী’ নামের দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ। এখন উড়ালের অপেক্ষায় আছে বিমান দু’টি। দুপুরে উড়োজাহাজ দুটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি এ উড়োজাহাজ দুটির উদ্বোধন করেন।

বিমান সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল (বুধবার) উদ্বোধনী যাত্রায় নতুন দুটি বিমান চারটি গন্তব্য, যথাক্রমে- চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। জাতীয় পতাকাবাহী এসব বিমান সপ্তাহে কক্সবাজারে ছয়টি, যশোরে পাঁচটি, রাজশাহী ও সৈয়দপুরে ৩টি করে এবং বরিশালে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

নতুন এ উড়োজাহাজ দুটি গত মাসে ঢাকায় আসে। বিশ্বখ্যাত বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে উড়োজাহাজ দুটি কেনা হয়েছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানকে আরো লাভজনক করতে কার্গোর প্রয়োজন। এজন্য যে ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন তা দেয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে, উভয় ক্ষেত্রেই যাত্রীসেবা নিশ্চিত এবং আমাদের সুনাম রক্ষা করতে হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করবে ১৬২ আসনের নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৩৭-৮০০। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ দুটি এখন বিশ্বের সেরা এয়ারক্রাফট। উড়োজাহাজ দুটির নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে।

এর আগে বিমান বহরে যোগ হয়েছিল বোয়িং কোম্পানির আরো ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ। ওই চারটি উড়োজাহাজের নামও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। এগুলোর নাম হলো যথাক্রমে পালকি, অরুণ আলো, রাঙাপ্রভাত ও আকাশ প্রদীপ।

বোয়িং কোম্পানির নিজস্ব ৬টি ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজ এখন বিমানের বহরে আছে। বর্তমান সরকারের আমলে আরো ৪টি নতুন ড্রিমলাইনার যুক্ত হবে বিমান বহরে। এটা সম্ভব হলে বিমান হবে স্বপ্নের এয়ারলাইন্স। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিসে বিদেশি পার্টনার সংযোগ হবে। এরপর আর লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে যাত্রী দুর্ভোগ থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ ও বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি উইং কমান্ডার (অব.) আসাদুজ্জামানসহ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর