সাইবার অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের শাস্তির বিধান রেখে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ করতে যাচ্ছে সরকার। এই আইন হলে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, তা দূর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রণীত আইনের খসড়া নিয়ে রোববার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নতুন আইনে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সর্বনিম্ন শাস্তিও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। নতুন আইনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আনিসুল বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম এক সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’ বাংলাদেশে ইন্টারনেটের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার জগতে অপরাধের ঘটনাও ঘটতে থাকে।
এর আগে প্রণীত তথ্য প্রযুক্তি আইনে অপরাধ দমনের ধারা থাকলেও তা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। ওই আইনের ৫৭ ধারাকে মুক্ত চিন্তার অন্তরায় হিসেবে দেখে তা বাতিলের দাবিও উঠেছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অপরাধের যে ধরন-সংজ্ঞা ছিল, নতুন আইনে তা আরও স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।’ নতুন আইনের আওতায় ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।