নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু ও প্রাণ অ্যাগ্রো কারখানার এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে সদর উপজেলার ডাকমারা গোরস্থান এবং লালমনিপুর এলাকায় পৃথক এই দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার লেঙ্গুরিয়া এলাকার সাদেক আলীর স্ত্রী ছাবিনা বেগম (৫০) এবং লালমনিপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরাফাত হোসেন (৪)। এদিকে প্রাণ এগ্রো কারখানার শ্রমিকের মৃত্যুল ঘটনায় ক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা এক ঘণ্টা নাটোর-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, রোববার সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার ডাকমারা গোরস্থান এলাকায় প্রাণ এগ্রো কারখানার রিজেট ইউনিটে কাজ করতে যাচ্ছিল শ্রমিক সাবিনা বেগম। এসময় নাটোর-রাজশাহী মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শ্রমিক সাবিনা বেগমের মৃত্যু হয়। এদিকে শ্রমিকের মৃত্যুর খবরে এক ঘণ্টা ধরে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে প্রাণ কারখানার শ্রমিকরা।
মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় যানজটের সৃষ্টি হয়। নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান,পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাত্রীবাহী বাস চালকের শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।
অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরতলীর দত্তপাড়া-ধরাইল আঞ্চলিক সড়কের লালমনিপুর এলাকায় রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় আরাফাত হোসেন নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আরাফাত হোসেন রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় দত্তপাড়া-ধরাইল আঞ্চলিক সড়কের লালমনিপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি ট্রাক্টর তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়।