বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনে সিলেট সুপারস্টারসের মালিক আজিজুল ইসলামের বিপক্ষে গালিগালাজ করার অভিযোগ এনেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও চিটাগাং কিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তামিমের বিপক্ষেও একই ধরনের অভিযোগ এনেছিলেন আজিজুল। এ ঘটনার পর ৪৪ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। তবে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির প্রধান শেখ সোহেল জানান তারা তদন্তের কাজ শেষ করে ফেলেছেন। এই ঘটনায় দুইজনকেই কম বেশি শাস্তি (আর্থিক জরিমানা) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিসিবি কার্যালয়ে শেখ সোহেল বলেন, ‘তামিমের ব্যাপারটা নিয়ে আমি নিজেই দুঃখিত। অনেক সময় নিয়ে ফেলেছি। খেলা চলছিল, এই জন্য অনেকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি। খেলা শেষে আপনাদের সঙ্গে কথা বলেছি, মাঠে যারা ছিল তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমি যা ভেবেছি দুইজনকেই শাস্তি দিব। আর্থিক জরিমানা করা হবে।’
আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষেই এই শাস্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। তবে কাকে কি পরিমান শাস্তি দেয়া হবে তা খোলসা করেননি তিনি। যদিও জানিয়েছেন সিলেটের মালিকের কারণে যেহেতু এই ঘটনা ঘটেছে তাই তার শাস্তির পরিমান অথ্যাৎ জরিমানাটা বেশি করা হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কম বেশি হবে। যেহেতু সিলেটের মালিক অন্যায়ভাবে মাঠে ঢুকে একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে অপমান করেছেন। তিনি যদি ওইখানে না ঢুকতেন তাহলে এই ঘটনাটা ঘটতো না। একজন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের ওইখানে যাবার কোন অধিকার নেই। এমনকি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলারও অধিকার নেই। তিনি কিভাবে ঢুকলেন, কেন ঢুকলেন? এই জন্য তাকে জরিমানা করা হবে।’
তামিমকে কেন জরিমানা করা হবে এর ব্যাখা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু তামিম এবং সিলেটের মালিক দুইজনের সঙ্গে কথা বলিনি। আমি সবার সঙ্গেই কথা বলেছি, আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গেও কথা বলেছি। তারপর মাঠে জালাল ভাইও ছিল। এছাড়াও সিনিয়ররা ছিলেন, বিসিবির কর্মচারীরা ছিলেন, খেলোয়াড়রা ছিলেন সবার সঙ্গে কথা বলেই যা বুঝলাম তাতে দু’জনেরই দোষ আছে। তামিম একজন জাতীয় দলের প্রতিনিধি। বিপিএলের সে একজন আইকনও ছিলেন। ভিডিওতে আমরা যা দেখেছি, তার অনেক ধৈর্য ধরতে হবে। অনেক কিছু দেখতে হবে। সে তখন মাঠের ভিতরে ছিলেন এখানে থেকে এই ধরণের ব্যবহার করা আমি মনে করি উচিৎ হয়নি।’