সমুদ্রে মাছ ধরার সময় জেলে বহরে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে তিন জেলেসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দস্যুরা। এ সময় দস্যুরা অপর একটি ট্রলারের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে যাওয়ায় ওই ট্রলারের প্রায় ৩০ জেলে গভীর সমুদ্রে ভাসছে বলেও জানা গেছে। বুধবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরের জাহাজামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বুধবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরের জাহাজমারা এলাকায় এফবি মামুনি ট্রলারের ১৯ জেলে জাল ফেলে মাছ ধরছিলো। এ সময় সুন্দরবন কেন্দ্রিক একদল দস্যু সশস্ত্র তাদের ট্রলারে হামলা ও লুটপাট চালায়। পরে তারা ওই ট্রলারের ১৯ জন জেলের মধ্যে কালাম মাঝি, মাসুম মিস্ত্রী ও জাকির মিস্ত্রীসহ ট্রলারটি অপহরণ করে সুন্দরবনের গহীনে নিয়ে যায়।
এ সময় তারা ওই ট্রলারের বাকি ১৬ জনকে পার্শ্ববর্তী এফবি কিশোয়ান ট্রলারে উঠিয়ে দেয়। এরপর ওই ট্রলারের ইঞ্জিনটিও খুলে নিয়ে যায় তারা।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আরও জানান, এরপর থেকেই ইঞ্জিনবিহীন এফবি কিশোয়ান ট্রলারটি অন্তত ৩০ জন জেলেকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ভাসমান ট্রলাটিতে অবস্থানরত জেলেদের অনেকেই আতঙ্কে দুর্বল হয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।
ভাসমান ট্রলারটিতে অবস্থানরত ৩০ জেলের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাদশা মিয়া, জহিরুল হক, নান্না মিয়া, জোবায়ের, শহিদ, কবির, জামাল, মামুন, মহিউদ্দিন, মতি মিয়া, মনির হোসেন, খোকন মিয়া, আবুল কালাম, আ. রহমান, দুলাল, আবু কালাম, আবুল হোসেনের নাম জানা গেছে। ভাসমান এফবি কিশোয়ান ট্রলারের মালিকের নাম আ. মজিদ। তিনি কক্সবাজারের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার আবদুর রউফ জানান, তারা বিষয়টি শুনেছেন। অপহৃত জেলে ও ট্রলারসহ সাগরে ভাসমান ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।