ঢাকাকে উড়িয়ে রংপুরের জয়

ঢাকাকে উড়িয়ে রংপুরের জয়

188লেন্ডন সিমন্সের দায়িত্বশীল ব্যাটিং এবং সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপে ঢাকা ডায়নামাইটসকে উড়িয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। আর ৬৯ রানের বড় জয় দিয়ে জয়ের ধারায় ফিরে এল সাকিববাহিনী।

রংপুর রাইডার্সের দেয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই সাকিবের বোলিং তোপে চাপে পড়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত করে রংপুরকে চালকের আসনে আনেন সাকিব। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ঢাকার দলটি।

শামসুর রহমানকে বোল্ড করার পর নাসির জামসেদকে (১১) সৌম্য ক্যাচে পরিণত করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। সাকিবের পর দৃশ্যপটে আসেন আরাফাত সানি। মোসাদ্দেক হোসেনকে সাকিবের ক্যাচে পরিণত করে আউট করেন এই বাঁ হাতি। মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি অধিনায়ক সাঙ্গাকারা। দলের হয়ে ১৮ যোগ করে সানির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন এই লঙ্কান লিজেন্ড। আউট হবাত আগে ২৮ বলে ২৯ রান করেন তিনি।

এরপর নেদারল্যান্ডের রায়ান টেন ডেসকাটকে (৮) সাকিবের তালুবন্দি করে বিদায় করেন পেরেরা। নিজের পরের ওভারে রাজুকে (১০) ফেরান এই লঙ্কান। সাকিব দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ফরহাদ রেজাকে বোল্ড করে কার্যত শেষ করে দেন ঢাকা ডায়নামাইটসের জয়ে আশা। পরের ওভারে বল করতে ঢাকার শেষ ভরসা এসে মিঃ ফিনিসার খ্যাত নাসির হোসেনকে (১৫) আবু জায়দের তালুবন্দি করে সাজঘরে ফেরান এই অলরাউন্ডার।

এরপর ইয়াসির শাহ ১২ রান কেবল পরাহয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১০৭ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। রংপুরের পক্ষে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার সাকিব। পেরেরা ২৫ রানে ৩টি উইকেট এবং সানি ১৫ রানে ২টি উইকেট পান।

এর আগে বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে রংপুর। ব্যাটিং নেমে শুরুটা ভালোই করে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার এবং লেন্ডল সিমন্স। দলীয় ৩৮ রানে রংপুর শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহামান। মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার। ১০ বলে ১৮ রান করেন এই ওপেনার।

এরপর মো. মিথুনকে নিয়ে ৫৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে রংপুরকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান সিমন্স। তবে ১১ তম সিমন্সকে ফরহাদ রেজার হাতে তালুবন্দি করে আউট করেন মোশারফ হোসেন। আউট হবার আগে অর্ধশতক তুলে নেন এই ক্যারাবিয়ান। ৩৯ বলে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫১ রান করেন তিনি।

এরপর থুসারা পেরেরার সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন মোঃ মিঠুন। তবে ঢাকার আগে ম্যাচের নায়ক আবুল হোসেন রাজুর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। দলের জন্য মূল্যবান ৩৪ রান করেন মিঠুন। ২২ বলে ৩টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি।

মিথুনের বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান স্যামি, পেরেরা এবং আল-আমিন। পেরেরা ২০ বলে ২টি চার এবং ২টি ছক্কায় ২৭ রান করে মুস্তাফিজের বলে আউট হন। শেষ দিকে সাকিব আল হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৬ রান করে রংপুর রাইডার্স। সাকিব ১৫ বলে ৩টি চারে ২৪ রান করেন। ঢাকার পক্ষে ইয়াসির শাহ এবং মুস্তাফিজুর রহমান ২টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ২৪ ও ৩৮ রানে। এছাড়া মোশারফ এবং রাজু ১টি করে উইকেট পান।

খেলাধূলা