বিশ্ব ব্যাংক রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) অবস্থিত তৈরি পোশাক খাতে মঙ্গা কবলিত উত্তরাঞ্চল থেকে আগত দুস্থ এবং দরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থান লাভে সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষ ঋণ অনুমোদন করেছে। বিশেষ রেয়াতি সুদে বাংলাদেশ ২১৭ কোটি টাকা (২৯ মিলিয়ন ডলারের) এ ঋণ পাবে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের ১৮ হাজার নারী লাভবান হবেন।
শনিবার বিশ্ব ব্যাংক এ তথ্য জানায়।
বিশ্ব ব্যাংক দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে, ১০ বছর রেয়াতী সুবিধাসহ ৪০ বছরে পরিশোধের শর্তে এই ঋণ অনুমোদন করেছে।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, উত্তরাঞ্চলের দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পের (নারী) অধীনে তিনটি ইপিজেড এলাকায় জীবন জীবিকা উন্নয়নে দক্ষতা প্রশিক্ষণ, অন্তবর্তীকালীন গৃহায়ন, কাউন্সেলিং এবং চাকরি বদলের সুযোগসহ তাদের সুবিধা পাবেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চণের দরিদ্র নারীরা। যেসব এলাকার নারীরা এই সুবিধা পাবেন, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী এবং লালমনিরহাট জেলা।
নারী হচ্ছে বিশ্ব ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায়নের লক্ষে গৃহীত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কর্মসূচি।
বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রধান গোল্ডস্টেইন বলেছেন, বিকাশমান তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত তিন মিলিয়ন শ্রমিকের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি নারী। এরা অধিকাংশ সময় অসহায়, অল্প বয়সী, দরিদ্র এবং প্রায়ই অশিক্ষিত এবং অবিবাহিত হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, নারী প্রকল্প অভ্যন্তরীণ অভিবাসন প্রক্রিয়াকে সহজ করবে। দরিদ্র অঞ্চলের দুস্থ নারীদের সহায়তা দিবে এবং তাদের নতুন জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে সুযোগ করে দিবে।
এদিকে এ প্রকল্পের অধীনে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিশেষ সচেতনা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। তাদের থেকে আগ্রহী প্রার্থী বাছাই করা হবে। বাছাইকৃত প্রার্থীদের ঢাকা, ইশ্বরদী এবং কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে। এর সঙ্গে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে ইপিজেড এলাকায় থাকার জন্য ডরমিটরি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবস্থা করা হবে।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে এক সঙ্গে ৩০০ নারীর প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে। আর ডরমিটরিতে ৬০০ নারীর থাকার ব্যবস্থা হবে। তারা সেখানে ছয়মাস থাকতে পারবে। এর পর আরো তিনমাস গৃহায়ন খুঁজে পাওয়ার সময় পাবেন ঐসব দুস্থ নারীরা।