অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের শেয়ার বাজার খুবই স্পেশাল, আজ উঠছে তো কাল নামছে। শেয়ার বাজারের উপর কিসের প্রভাব পড়েছে তা আমি বুঝি না। এমন কি কেউ আছেন যিনি বলতে পারেন, বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের উপরে কিসের প্রভাব পড়েছে?
শনিবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বরেন, শেয়ার বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে তার জন্য সরকার যে চেষ্টা করেছে তা ইতিপূর্বে আর কেউ করেনি।
তিনি আরও বলেন, এমপি-মন্ত্রীদের করের আওতায় আসতে হয়েছে, এমনকি আমি (অর্থমন্ত্রী) নিজেও কর পরিশোধ করছি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সাংসদ আ ক ম মোজাম্মেল হক, আরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভি, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম, আরবি গ্রুপের পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম, এসএম রেজাউল আলম, পরিচালক (ফিন্যান্স) আবুল বাশার হাওলাদার, মার্কেটিং পরিচালক এমদাদুল হক সরকার, এনবিআরের এডিশনাল কমিশনার (কর) এমএ ফজলুল হক, অর্থমন্ত্রীর ছেলে শাহেদ মুহিত প্রমুখ।
মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ওয়ালটন যে স্বপ্ন নিয়ে দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে তাতে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ ও এসি উৎপাদনে সারা বিশ্বের রাজধানী হবে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম বলেন, সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলে ওয়ালটন শুধু দেশেই নয়, সারা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। ২০১৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর ৫০ টি দেশে পৌঁছে যাবে ওয়ালটন পণ্য।
তিনি আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ওয়ালটনের আরেকটি ফ্রিজ ফ্যাক্টরি উৎপাদনে যাবে, যা থেকে উৎপাদিত পন্য রপ্তানি করা হবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে। এছাড়া মোবাইল ফোন সেট, এলসিএম, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার মাদারবোর্ডসহ বেশকিছু পণ্য তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ওয়ালটনের। সরকারি পলিসি সাপোর্ট ছাড়া এ উদ্যোগ সফল হবে না।