তবুও জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ দল!

তবুও জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ দল!

নিজের দেশে খেলার একটা বাড়তি সুবিধা থাকে। সেগুলো কাজে লাগানোর মতো প্রয়োজনীয় গুণের অধিকারীও হতে হয়। বাংলাদেশ প্রমীলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা দেশের কন্ডিশন পাচ্ছে ঠিকই, সুবিধাগুলো কাজে লাগানোর মতো পরিপক্ক হয়ে উঠেনি।

এই তো শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে পর পর দুই ম্যাচে খেই হারিয়ে ফেলেছিলো। জয় দূরে থাক খেলাটাও ভালো খেলতে পারেনি। পাকিস্তান দলটিও শ্রীলঙ্কার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে ভালো ক্রিকেট খেলে। বিশেষ করে ব্যাটিং অলরাউন্ডার এবং পেস বোলিং বিভাগে অনেক সমৃদ্ধ। সেখানে বাংলাদেশ দলে গর্ব করার মতো একজন ক্রিকেটারও নেই। তবে দলীয় প্রচেষ্টায় শেষপর্যন্ত লড়াই জমিয়ে দিলেও দিতে পারে।

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের তুলনা করলে পরিসংখ্যান এসে যায়। পাঁচ ম্যাচের একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ দল। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত প্রমীলা এশিয়া কাপের প্রথম লেগে বিশ্বকাপ খেলা দলটিকে হারিয়ে দিয়েছিলো অনভিজ্ঞ দলটি। ওই প্রতিযোযোতার আগে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দুটি ম্যাচ হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে। দুটোতেই হেরে যায় স্বাগতিক দল। উভয় দলের সর্বশেষ দেখা হয়েছিলো ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসের ফাইনালে। বাংলাদেশ দলকে ১০ উইকেটে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট দল।

যদিও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন ওই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবছেন। বাস্তবে তার প্রতিফলন নাও হতে পারে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিনটি বিভাগেই দারুণ লড়াকু পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। তাদের স্কিলও অনেক ভালো। তবুও সালমা বললেন,“ওই খেলাটা কথা আমাদের মনে আছে। কালকে আমরা মাঠে তার প্রকাশ করবো।”

বাংলাদেশ দল সাতটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। দুটি ভারতের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট একাডেমি দলের মেয়েদের বিপক্ষে। দুটিতেই জিতেছে। বাকি পাঁচটি ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলে হেরে গেছে। সেখানে পাকিস্তান দল টানা ক্রিকেটের মধ্যে আছে নয় মাস ধরে। তাদের অধিনায়ক সানা মির জানালেন, নেপালের সঙ্গে হোম সিরিজ, শ্রীলঙ্কায় দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরিপূর্ণ সিরিজ খেলে পাকাপাকি ভাবে তৈরি হয়েছে। সোমবারের ম্যাচ নিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক চিন্তা হলো,“আমাদের পেস এবং স্পিন বলের সমন্বিত পারফরমেন্স দিয়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের চাপে রাখার যোগ্যতা আছে। অনেকগুলো সিরিজ খেলে আমাদের দলটি এখন অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে। আশা করি ভালো খেলা হবে। এই ম্যাচের পর বাংলাদেশের দর্শক সমর্থন পাবো আমরা। টুর্নামেন্টে এটা আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকবে।”

বাংলাদেশ দলে সামান্য পরিবর্তন আসবে। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জেসিকে একাদশে নাও রাখা হতে পারে। পান্না ঘোষ ব্যাটিংয়ে উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক সালমা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভুলগুলো এরই মধ্যে শুধরে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

মাঠের বাউন্ডারি লাইন ৬০ গজের হওয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান বাড়তি সুবিধা পাবে। তাদের দলে শট খেলার মতো ক্রিকেটার অনেক আছে। বাংলাদেশ দলে অতটা ভালো ব্যাটার কোথায়?

সে যাই হোক সোমবার সকাল নয়টায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ খেলা পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ওয়ানডে দলের মর্যাদা না পাওয়া বাংলাদেশ দল।

খেলাধূলা