ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে যে বিরোধ রয়েছে তা নিষ্পত্তিতে আন্তর্জাতিক আদালতে রায় অপেক্ষমাণ। এই রায়ে বাংলাদেশ যেন জিততে পারে সে ব্যাপারে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ দোয়া কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মায়ানমারের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। ভারতের সঙ্গেও রায় অপেক্ষমাণ রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই রায় দেয়া হবে। দোয়া করবেন রায়টি যেন আমাদের পক্ষে আসে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ অঞ্চল। মাছের চাষ বৃদ্ধিতে আমরা ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য গবেষণাও হচ্ছে।
খাদ্যের মতো মৎস্য উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মোট মৎস্য চাহিদার ৩৫ ভাগ পূরণ হয় প্রাকৃতিক ভাবে। বাকি চাহিদা পূরণে কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হয়। বিশাল পানিরাশিকে ব্যবহার করে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে আমরা মুটোমুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, আমিষ উৎপাদনেও বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ জোগান দেয় মৎস্য।
প্রধানমন্ত্রী জানান, জেলেদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। মৎস্য হ্যাচারি আইন, এ খাতে ক্ষুদ্র ঋণ, চিংড়ি উৎপাদনে বিভিন্ন নীতিমালা নির্ধারণে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
পানির নাব্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীতে মাছ চাষের হার বৃদ্ধি হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যমুনায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু হচ্ছে। পশুর নদী ও সুন্দরবনের ভেতরে খাল ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। নদী শাসন করে পানি বৃদ্ধি করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।