যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর মূল অংশের কাজ চলতি জুলাই মাস থেকে শুরু হবে এবং ২০১৮ সালের মধ্যে এই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে সর্বমোট তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় হবে না। এটি একটি দোতলা সেতু হবে। নিচ দিয়ে ট্রেন এবং ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে।
জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার সকালে সরকারি দলের বেগম ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর মূল অংশ নির্মাণে ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া নদী শাসনে ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মো. সেলিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের প্লটসহ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো যদি প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকেন, তারা স্থানীয় জেলা প্রশাসন অফিসে যোগাযোগ করলে ন্যায্যতার ভিত্তিতে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
সরকারি দলের ডা. সিরাজুল আকবরের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, দু’টি পদ্মা সেতু এক সঙ্গে করার সামর্থ্য বাংলাদেশের রয়েছে কি-না বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করে দেখতে হবে। তারপরও পিপিপি’র মাধ্যমে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী পদ্মা সেতু বিষয়ে সরকারি দলের ধীরেন্দ্র নাথ সম্ভু ও স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরায়েজির দু’টি সম্পূরক প্রশ্নেরও জবাব দেন।