শিক্ষার প্রসারে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সরকার অনুমোদন দেবে বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৪’ এর উদ্বোধন করে দেয়া বক্তব্যে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি সবাইকে সংস্কৃতিও খেলাধুলার চর্চায় আগ্রহী হওয়ারও আহ্বান জানান। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি অন্যতম উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতিকে শিক্ষার অধিকার থেকে শুরু করে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করতে হয়েছে সংগ্রাম করে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেছিলেন। মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা মনে করি শিক্ষাই পারবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে।
এ সময় তিনি সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশংসা করে বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি অন্যতম উন্নত দেশে পরিণত হবে। যে দেশের মানুষ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমায়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার নয় সমগ্র পৃথিবীতে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তুলবো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তুলে চাই যাতে এদেশের মানুষকে কেউ বঞ্চিত করতে না পারে। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষাকে যতদূর সম্ভব অবৈতনিক করে দেয়া। যাতে এদেশের সব স্তরের মানুষ শিক্ষিত হতে পারে।
তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরে শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। শিক্ষার সুযোগ ও সুবিধা আমরা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা চাই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সুদক্ষ, মূল্যবোধসম্পন্ন, দেশপ্রেমিক ও সৃজনশীল নতুন প্রজন্ম। সে লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছি। যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে তার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। একটি নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে। যে প্রজন্ম হবে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ।