ভারতের কুচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের ডাকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম রোববার থেকে বন্ধ রয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস ও সিএন্ডএফ এজেন্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানির নির্ধারিত আর্ন্তজাতিক মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধির কারণে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ওপারে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক ও সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে। এ কারণে বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কায়ন মুল্য ১০০-১৫০% মূল্য বেশি দেখিয়ে পণ্য আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে আমদানি-রফতানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তার জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সব আমদানি-রফতানি কারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট শামীম হোসেন বলেন, ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রফতানি কারক অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা ধর্মঘটে স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতে রফতানির জন্য অর্ধশতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।
এ ব্যাপারে বুড়িমারী সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রফতানি কারক অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বলেন, বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতে ধর্মঘট চলছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি) সোহেল রানা ভারতীয় পণ্যের আমদানি- রফতানি কার্যক্রম বন্ধের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুধু ভুটানি পণ্য আমদানি-রফতানি চালু রয়েছে।