শুক্রবার একটি ভোগান্তির দিন পার করলো ব্রাজিলের বিশ্বকাপ আয়োজনকারীরা। এদিন সাওপাওলোতে ধর্মঘটে যাওয়া সুড়ঙ্গপথ নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় জনবহুল মেগা শহরটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সমর্থকরা জাতীয় দলের উদ্দেশ্যে ‘দুয়োধ্বনি’ প্রদান করে।
মেট্রো স্টেশনে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি ও বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩০০০ সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের এই জমায়েতের পর আরো উত্তেজনা আগামী বৃহস্পতিবার সাওপাওলোতে ব্রাজিল বনাম ক্রেয়েশিয়ার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
শুক্রবার অফিসগামী যাত্রীদেরকে আন্দোলনকারীরা পাতাল ট্রেনে যেতে বাঁধা দেয়ায় তাদেরকে হটানোর জন্য পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নের আন্দোলনের পরও কোনো ধরনের আপোষ রফা না হওয়ায় সেটি আরো জোরদার হয়। তৃতীয় দিনের মতো শনিবারও এটি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এই ধর্মঘটের ফলে লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
রাষ্ট্রপতি ডিলমা রুসেফের আর্থিক পলিসির বিরোধীতাকারী ফোর্স ইউনিয়নের উদ্যেগে আন্দোলনকারীরা সেন্ট্রাল ব্যাংকের সামনের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। ইউনিয়ন নেতা পাওলো প্যারেরা দা সিলভা আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে টেনে এনে বলেন, ‘জাতীয় (ফুটবল) দলের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমরা তাদের অভিনন্দিত করব। কিন্তু ৫ অক্টোবর আমরা ডিলমা রোসেফকে নরকে পাঠাব।’
পাতাল পথের ওই আন্দোলনের ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়, বিশেষ করে ব্রাজিলের ফুটবল সমর্থকদের। সাওপাওলোর মরুম্বি স্টেডিয়ামে সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিল দলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি ম্যাচ দেখে ফোরর পথে দুর্ভোগে পড়ে দর্শকরা। ম্যাচে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয়লাভ করে ব্রাজিল। দর্শকদের একটি অংশও অবশ্য নেইমারের নেতৃত্বাধীন ব্রাজিল দলকের বিদ্রুপ করতে থাকে। সার্বিয়ার বিপক্ষে গোলের দেখা পেতে যাদেরকে বেগ পেতে হয়েছে।
রেকর্ড ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা লাভের জন্য তীব্র চাপে থাকা দলটির কোচ লুইস ফেলিপ স্কলারি অবশ্য বলেন, ‘ভাল খেলতে না পারলে যেকোনো ধরনের সমালোচনা সহ্য করার জন্য প্রস্তুত আমাদের খেলোয়াড়রা।’