আফ্রিকায় বাল্যবিবাহ রোধ করার জন্য আফ্রিকান ইউনিয়ন ব্যাপক পরিসরে প্রচারাভিযান শুরু করেছে। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অবস্থিত আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তরে এই প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আফ্রিকা মহাদেশে অন্তত ১ কোটি ৭০ লাখ কিশোরী বাল্যবিয়ের শিকার বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্পবয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মেয়ে তাদের শৈশব হারাচ্ছে এবং বেশিরভাগ মেয়েদেরই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই।
বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরীদের বিয়ের পর স্কুলে যাওয়ার অধিকার থাকে না। বিয়ের পরেই কিশোরীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়ে তাদেরকে সাংসারিক কাজে লাগিয়ে দেয়া হয়। এমনকি কৈশোরে গর্ভধারণের ফলে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যেও পরে অনেকেই।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিয়ের পর কিশোরী বধূরা গৃহে আবদ্ধ হয়ে মূলত এক ধরনের বন্দীজীবন কাটায়। কেননা, বিয়ের পর তাদের অধিকাংশেরই না থাকে কোনো সামাজিক জীবন এবং বিয়ে হয়ে নতুন সংসারে যাওয়ার পর সেখানে না থাকে তাদের কোনো ক্ষমতা। তার ওপরে পারিবারিক নির্যাতনেরও শিকার হয় তারা।
আফ্রিকার মোট ৯টি দেশের মধ্যে বাল্যবিয়ের হার অতি উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান। আর পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ নিজার-এ। সেখানে শতকরা ৭৫ জন কিশোরীকে খেলার বয়সেই বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে।
তাই আফ্রিকা মহাদেশকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করার জন্য এবার প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে আফ্রিকার দেশগুলো।