বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন লাওনেল মেসি৷ সোমবার বুয়েনস এয়ার্সে আগুয়েরো, লাভেজিদের সঙ্গে ট্রেনিং করেন৷ জানিয়েছেন, ‘জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি৷ এবার ভাবনা বদলের পালা৷ অন্য সময় জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফিরতে হয় বার্সিলোনায়৷ মন দিতে হয় ক্লাব ফুটবলে৷ ভালো খেলতে হয়৷
আশা করি, এবার উল্টোটা ঘটলেও, সব ঠিক থাকবে৷’ মরশুমে তার পারফরমেন্সে মন ভরেনি৷ সমালোচকরা আক্রমণ করেছেন৷ কিন্তু সাবেয়া সমালোচনায় কান দিচ্ছেন না৷ আর্জেন্টিনার কোচ জানিয়ে দিলেন, ‘আমাদের দলের নেতা মেসি৷ ওর হাতেই আমাদের দেশের পতাকা৷ দলের বাকিরা ওর পাশেই আছে৷ মেসিকে সামনে রেখেই এগোবে৷’
এদিকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ সিমিওনে মনে করেন, ‘বিশ্বকাপই মেসির মনঃসংযোগ ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই মরশুমে৷ ও চেয়েছে বিশ্বকাপের জন্যই নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে৷’ তবে এতে কোনো দোষ খোঁজেননি সিমিওনে৷ বলেছেন, ‘ইউরোপে অনেক কিছু জিতেছে মেসি৷ এখন বিশ্বকাপ জিততে চায়৷ আর এই ট্রফি জয়ের লক্ষ্য, ওর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে আরও বেশি৷ বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি সব সময়ই বেশি৷ একজন প্লেয়ার বিশ্বকাপ জিতে আরও বেশি পূর্ণতা পায়৷ মেসি আর ওর সতীর্থরা মরিয়া ট্রফি জয়ের জন্য৷ এটা খুবই স্বাভাবিক৷’ বিশ্বকাপে এবার সহজ গ্রুপে রয়েছে আর্জেন্টিনা৷ কিন্তু কাপ জয়ের ব্যাপারে এখনই কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চান না সাবেয়া৷
আর্জেন্টিনার কোচের কথায়, ‘কাপ জিতবই, এখনই কোনও প্রতিশ্রুতি দেব না৷ তবে হ্যাঁ, এটুকু বলতে পারি, শেষ চারে যাওয়ার ভাবনা মাথায় আছে৷ তার থেকে আরও এগনোরও ইচ্ছে রয়েছে মনে৷ গত বিশ্বকাপের থেকে এবার ভাল কিছু করবই৷’ এদিকে সিমিওনেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্ব দেওয়া হলে নেবেন? অ্যাটলেটিকোর কোচের জবাব, ‘একদিন যদি এমন সুযোগ পাই, অবশ্যই দায়িত্ব পালন করব৷ তবে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে অভিজ্ঞতা জরুরি৷ দেল বস্কদের দেখে প্রতি মুহূর্তে শিক্ষা নিই৷ বিশ্বাস করি, কোচিংয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, পরিণতি বোধ থাকলে, তবেই জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া উচিত৷ একজন কোচকে ধৈর্যশীল হতে হয়৷ জানি না, অতটা ধৈর্য দেখানোর জন্য আমি তৈরি কি না৷ সত্যি বলতে কী, জাতীয় দলের কোচিং করানো সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার৷