জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলোকে বাস্তবায়ন করতে ১০ দফা ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার তিনি তার ১০ দফা ঘোষনা করেন।
মোদির ১০ দফায় অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বাধাগুলো দূর করা ও মূল্যবৃদ্ধি কমানো। তিনি বলেন, লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি আগের সরকারকে যথেষ্ট কোণঠাসা করে দিয়েছিল। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পানীয় জল সরবরাহে। নির্বাচনী প্রচারে এই তিন বিষয়ের ওপর তিনি বিশেষ জোর দিয়েছিলেন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে পরিকাঠামো ক্ষেত্রগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার, যাতে দেশের প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি না হয়। দেশের শিল্পমহলের দাবিও এই বিষয়ে যথেষ্ট জোরালো। তাদের মতে, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সংস্কার হলে সরকারের প্রতি লগ্নিকারীদেরও আস্থা বাড়বে। অগ্রাধিকারের চতুর্থ বিষয়টি হলো সরকারের জনমুখী চরিত্র। মোদি বৈঠকে বলেছেন, প্রশাসনকে জনগণের চাহিদাগুলো মেটাতে হবে। শুধু জনমুখী হলেই হবে না, অতিসক্রিয়ও হতে হবে।
পঞ্চম অগ্রাধিকারে রয়েছে সময়ে কাজ শেষ করা। যে কাজগুলো যে সময়ে শেষ করা দরকার, সেই কাজ সেই সময়েই শেষ করতে হবে। মোদি বলেছেন, এতে প্রকল্প খরচ বাড়বে না। মানুষের দুর্দশাও কমবে। ষষ্ঠ তালিকায় রয়েছে নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। প্রশাসনিক স্বচ্ছতার ওপর খুবই জোর দিয়েছেন মোদি। তা বজায় রাখতে সপ্তম অগ্রাধিকার হলো ই-টেন্ডার। প্রশাসনে প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশেষত টেন্ডারের ক্ষেত্রে, এর ওপর জোর দিচ্ছেন মোদি। অষ্টম স্থানে রাখা হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন।
নবম স্থানে তিনি রেখেছেন আমলাতন্ত্রকে। আমলাতন্ত্রের ওপর আস্থা রাখা ও তা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন এবং দশম বিষয় হলো আমলাতন্ত্রকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ১০ দফা ঘোষণা ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ১০০ দিনে কী কী কাজ করা সম্ভব, তার তালিকা প্রস্তুত করার।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের বৈঠকে মোদি বলেন, আগামী ১০০ দিনে সম্পন্ন করা যাবে, এমন কাজের তালিকা আপনারা তৈরি করুন। সেই কাজের তালিকা তৈরি করবেন, যা শেষ করা যাবে।
মোদি বলেন, দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং বাস্তবায়নের যোগ্যতার ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, মানুষকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। জনগণ আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছেন। এমন সমর্থন মানুষ আমাদের দিয়েছেন, যাতে আর কারও ওপর নির্ভর করতে না হয়। ফলে কাজ করতে না-পারার অজুহাত মানুষ শুনবে না, এটা মনে রাখতে হবে।