এরশাদ জিয়া ও মঞ্জুরের খুনি, তার বিচার করা হবে’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক এই বক্তব্য প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘জিয়া হত্যা নিয়ে ব্লেম গেইম চলছে। উনি (খালেদা জিয়া) বলেন—আমি খুনি। জিয়ার খুনের সময় বিচারপতি সাত্তার ক্ষমতায় ছিলেন। মঞ্জুরকে ধরতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। বিদ্রোহ দমনের জন্য আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন। আমি জানি জিয়ার খুনি কে? তিনি যখন মারা যান, তখন তার পাশের কক্ষে কে ছিলেন। আপনি (খালেদা জিয়া) ২০ বছর তার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। কই তখন তো তার বিচার চাননি!’ আজ শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘মুসোলিনি ও হিটলারের মতো দেশ চালাচ্ছে সরকার। দেশে এখন ন্যূনতম গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র দুর্ভোগে। মানুষ বাঁচার অধিকার থেকে বঞ্চিত। অন্য দিকে, বিএনপিরও কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ নেই। এরা সংসদে নেই, রাজপথেও নেই। অদূর ভবিষ্যতেও থাকবে বলে মনে হয় না। সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতাও বিএনপির নেই, এরা কিছুই করতে পারবে না।’
সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, ‘এ সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে। মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। মানুষের সাংবিধানিক ন্যূনতম অধিকার নেই। গণতন্ত্র মানে কী—সরকার তা জানার অধিকার থেকেও জনগণকে বঞ্চিত করেছে। এটা কেমন দেশ! সরকার মানুষের বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। কোনো কিছু ঘটলেই অন্যদের দোষারোপ করা হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্ব যার, সেই সরকারই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে।’
এরশাদ আরো বলেন, ‘দেশে এখন কঠিন প্রেক্ষাপট। গণতন্ত্র ও সংবিধানের কথা শুধু শুনি। বাস্তবে কী? বাস্তবে দেখছি—নদীতে মানুষের লাশ ভেসে উঠছে। মানুষ গুম, খুন ও অপহরণ হয়ে যাচ্ছে। এর নাম কি গণতন্ত্র! এই গণতন্ত্র আমরা চাই না, দেশের মানুষও চায় না, তারা শান্তি চায়।’
অনুষ্ঠানে যুবসংহতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়ায় সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু, সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন।