সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ সব ক্লিনিকে দেশের দরিদ্র জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থাগ্রহণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে অনুমোদনবিহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধসহ সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়নের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মেডিকেল প্র্যাকটিস, প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ল্যাবরেটরি অধ্যাদেশ, ১৯৮২ (সংশোধিত-১৯৮৪) প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্ষেত্রে কেন বাস্তবায়ন করা হবে না তার জবাব দিতেও রুলে বলা হয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিকস এন্ড ডায়াগনস্টিক মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি/সেক্রেটারিকে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল-আমিন সরকার।
গত ১৯ মার্চ জনস্বার্থে অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফ ইউ আহম্মেদ ও সাবিনা ইয়াসমিন এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী চিকিৎসা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের এ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে সরকার। কিন্তু দেশে যথেষ্ট সরকারি হাসপাতাল না থাকায় সাধারণ মানুষ এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানুষের এ অধিকার ফিরিয়ে দিতেই এ রিট দায়ের করা হয়েছে।