ভারত মহাসাগরের উপরে দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে যে মার্কিন সেনা ঘাঁটি রয়েছে, সেখানেই নিখোঁজ মালয়েশিয়ার বিমানটিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এমন জল্পনা-কল্পনা চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। কিন্তু কুয়ালালামপুরের মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বিমান নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তাদের ভূমিকা নেই।
এদিকে বুধবার পর্য়ন্ত সমুদ্রের তলায় ব্লুফিন ২১ দিয়ে অভিযান চালিয়েও ইতিবাচক কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ভারত মহাসাগরের অন্দরে ছয় ঘণ্টা এমএইচ ৩৭০-র খোঁজ চালিয়ে ফিরে এসেছে ওই স্বয়ংক্রিয় যানটি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওই ছয় ঘণ্টায় যতটুকু তথ্য সেটি সংগ্রহ করতে পেরেছে, তা বিশ্লেষণ করে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সূত্রের হদিস মেলেনি। সোমবারই ব্লুফিন ২১ নামানোর কথা জানিয়েছিলেন তদন্তকারী দলের প্রধান অ্যাঙ্গাস হিউস্টন। আর তার পর ১৬ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালানোর কথা।
কিন্তু মঙ্গলবার ছয় ঘণ্টা পেরোতেই সেটি আপনা থেকে সমুদ্রের উপরিভাগে ভেসে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, ব্লুফিন ২১ সমুদ্রের ৪২০০ মিটার থেকে ৪৪০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। কিন্তু এ দিন সাড়ে চার হাজার মিটার গভীরতা পেরিয়ে যাওয়ার পরও তল না মেলায় সেটি নিজের থেকেই উপরিভাগে ভেসে ওঠে।
সর্বশেষ এই অভিযানটিতে কোনো ইতিবাচক ফল না পাওয়ায় নিখোঁজ বিমান নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনার ডালপালা গজাচ্ছে।
এদিকে মালেশিয়ার নিখোঁজ বিমানের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে কী হয়েছিল তা পুরোটাই জানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন লেখক এবং রেডিও উপস্থাপক ড. কেভিন ব্যারেট।
ইরানের প্রেস টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেন, বিমানটি একেবারে গায়েব হয়ে যেতে পারে না। এমনিতে নিখোঁজ হয়ে যেতে পারে না।
তিনি দাবি করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিস প্রিংসে অবস্থিত সিআইএ ঘাঁটি বিমানটির সঙ্গে কী হয়েছিল তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানে। মজার বিষয় হলো, মালয়েশিয়ার সরকার তাদের জিজ্ঞাসা করেছে কিন্তু তারা কোনো জবাব পায়নি।
এটা নিঃসন্দেহে একটি ধামাচাপা দেয়ার ঘটনা। বিমানটি শুধু শুধুই পথ পরিবর্তন করে উল্টো দিকে যাবে, এরপর মালদ্বীপের ওপর দেখা যাবে আর বেমালুম গায়েব হয়ে যাবে- এটা চিন্তার অতীত। বিমানটির সঙ্গে অদ্ভুত কিছু ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।