সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় ৮ উপজেলার ৩১ কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ চলছে

সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় ৮ উপজেলার ৩১ কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ চলছে

Bangladesh Electionচতুর্থ ও পঞ্চম দফার ৮ জেলার ৮ উপজেলায় স্থগিত ৩১ কেন্দ্রের পুন:ভোটগ্রহণ আজ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে।
এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে তিন উপজেলা ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে অন্য উপজেলাগুলোতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এ নির্বাচনে কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গতকাল থেকেই নিরপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে নির্বাচনী এলাকা। পাশাপাশি চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মাঠে নামছে ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক।
এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে এক প্ল¬াটুন বিজিবি ও একটি র‌্যাবের মোবাইল টিম রয়েছে। এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ান আনসারের পৃথক টিম সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে। অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে একজন করে নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেটও ভোটকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন বলে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আজ ভোটের দিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চেয়ারম্যানসহ সব পদে ৯টি ভোটকেন্দ্রে, সিলেটের কানাইঘাটের ১টি ভোটকেন্দ্রে (ভাইস চেয়ারম্যান পদে), কুমিল্লার বরুড়ায় ২টি ভোটকেন্দ্রে (ভাইস চেয়ারম্যান পদে), কক্সবাজারের কতুবদিয়ায় ২টি ভোটকেন্দ্রে (চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে), পটুয়াখালীর দুমকীতে (চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে) ৫টি ভোটকেন্দ্রে, লক্ষীপুর সদরের ৪টি ভোটকেন্দ্রে (ভাইস চেয়ারম্যান পদে), নরসিংদী সদরের ৩টি ভোটকেন্দ্রে (ভাইস চেয়ারম্যান পদে), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ৫টি ভোটকেন্দ্রে (ভাইস চেয়ারম্যান পদে) পুন:ভোট চলছে।
এদিকে এসব ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।। বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত রোববার চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের মোতায়েনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দেশের ৪৮৭টি উপজেলার মধ্যে ৫ ধাপে ৪৫৯টি উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করে ইসি। গত ২৩ ও ৩১ মার্চ ব্যাপক সহিংসতার কারণে এ ৩২ কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করে ইসি। এবার যাতে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই জন্য এ প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন।
এরমধ্যে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ৯টি, সিলেটের কানাইঘাটের ১টি, কুমিল¬ার বরুড়ায় ২টি, কক্সবাজারের কতুবদিয়ায় ২টি ও পটুয়াখালীর দুমকীতে ৫টি কেন্দ্রেকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসি। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে মন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৯টি কেন্দ্রকে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে-বালুয়াকান্দি আব্দুল গাফ্ফার স্কুল এন্ড কলেজ, ২৫ পুরাচক বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮ আলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২০ নং কৈক্ষারপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গজারিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও বাঘাইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রেফায়েতউল¬াহ খান তোতা আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী আমিরুল ইসলামের চেয়ে প্রায় ১২ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর