ডেভিড ময়েসের মানসিক অবস্থা এখন হয়তো কিছুটা উপলব্ধি করতে পারছেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। ফার্গুসনের উত্তরসূরি ময়েসের সমালোচনায় মুখর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকেরা। আর হবে নাইবা কেন! একটি বিজয়ী দল যে ময়েসের অধীনেই পরিণত পরাজিতদের দলে। প্রিয় দলের হার দেখতে কে চায়! ইউনাইটেড কোচের মনের অবস্থাটা হয়তো এই মুহূর্তে অনেকটাই উপলব্ধি করতে পারছেন আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। মৌসুমের শুরুটা তাঁর দল দারুণ করলেও এই মুহূর্তে যেন পথহারা পথিক। আর্সেনালের এমন অবস্থায় তীব্র সমালোচনার মুখে এই ফরাসি কোচ। গতকাল এভারটনের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারের পর তো তাঁর পদত্যাগই দাবি করে বসেছেন সমর্থকেরা।
এবারের মৌসুমের শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিল আর্সেনাল। প্রিমিয়ার লিগের ২২ ম্যাচ শেষেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই ছিল গানাররা। কিন্তু শেষ পর্যায়ে তারা খেই হারিয়ে শীর্ষস্থান তো হারিয়েছেই, এখন অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে আদৌ তারা প্রথম চারটি দলের মধ্যে থাকতে পারবে কি না। ৩৩ ম্যাচ শেষে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে আর্সেনাল। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে এভারটন। নিজেদের পরবর্তী ম্যাচটা জিততে পারলেই আর্সেনালকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে তারা।
১৯৯৬ সালের পর থেকে প্রতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগেই অংশগ্রহণ করেছে আর্সেনাল। ওয়েঙ্গারও গানারদের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেবারই। তিনটি মৌসুমে আর্সেনালকে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাও জিতিয়েছেন ওয়েঙ্গার। শেষ ট্রফিটা অবশ্য তারা জিতেছিল ২০০৩-০৪ মৌসুমে। এরপর টানা ১০টি বছর কেবল হতাশার সঙ্গেই ঘরবসতি তাদের।
এ অবস্থায় আর্সেনাল সমর্থকদের ধৈর্যও যেন বাঁধভাঙা দেয়াল। আর্সেনালের এক সমর্থক টুইটারে লিখেছেন, ‘২০১৪ সালে আর্সেনালের অবস্থান: জানুয়ারিতে প্রথম, ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয়, মার্চে তৃতীয়, এপ্রিলে চতুর্থ, মে মাসে পঞ্চম? এই ওয়েঙ্গারেই আমরা থেমে আছি। ওয়েঙ্গার দয়া করে সরে দাঁড়ান।’ আরেক সমর্থক লিখেছেন, ‘ওয়েঙ্গারের কারণেই আমি আর্সেনালকে সমর্থন করা শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখন সময় এসেছে সরে দাঁড়ানোর। শুধু ক্লাবের জন্যই না, তাঁর নিজের ভালোর জন্যও।’ আরেক সমর্থক ওয়েঙ্গারের সরে দাঁড়ানোর দাবি জানিয়েছেন খুব কড়া ভাষায়, ‘আমি অনেক দিন ধরেই বলছিলাম যে এটা ওয়েঙ্গারের সরে দাঁড়ানোর সময়। ওয়েঙ্গার কোনোভাবেই শিরোপা জেতাতে পারবেন না। ব্যর্থতাই তাঁর মন্ত্র।’