“আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও ন্যায়পূর্ণ। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।” -সূরা আন’আম (আয়াত-১১৫)।
গত পর্বে সূরা আন’আমের ১১৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যায় আমরা বলেছি, বিশ্বনবী’র প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার সময়ে কিছু কিছু ইহুদি ও খ্রিস্টান পণ্ডিত মদীনায় উপস্থিত ছিলেন। তারা জানতেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর কুরআন অবতীর্ণ হবে। কিন্তু হিংসা ও জেদের বশবর্তী হয়ে তারা এ সত্য মেনে নেননি। এ আয়াতে বিশ্বনবীকে উদ্দেশ করে মহান আল্লাহ বলছেন: তারা আপনার নবুওয়াতের স্বাক্ষ্য দিচ্ছে না বলে মন খারাপ করবেন না। কারণ, আল্লাহ নিজে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী আপনার প্রতি নাযিল করা হয়েছে। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এতে পূর্ণাঙ্গ দিক-নির্দেশনা রয়েছে।
এ আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হচ্ছে:
এক. পবিত্র কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এরপর আর কোন কিতাব অবতীর্ণ হবে না।
দুই. সত্য ও ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তি করে কুরআনের প্রতিটি নির্দেশ ও বিধিবিধান বর্ণনা করা হয়েছে।