হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন আমার সঙ্গী হওয়ার সবচেয়ে অধিক উপযুক্ত ওই ব্যক্তি যে আমার প্রতি সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠ করে। (তিরমিজী শরীফ) উক্ত সাহাবি হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহপাকের মনোনীত কিছুসংখ্যক ফেরেস্তা রয়েছে, যারা জমিনের বুকে সফর করছেন। তাদের কাজ হলো উন্মতের দরুদ আমার নিকট পৌঁছে দেওয়া। (নাসায়ী শরিফ)। খতিব আরও বলেন, আপনারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মানে বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করবেন। কেননা দরুদ শরিফ বান্দার জন্য বিরাট উপকারী এবাদত, অধিক ছওয়াব ও বরকতের কারণ এবং বান্দার সম্মান ও ইজ্জত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অধিক সহায়ক। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহপাক তার প্রতি দশটি রহমত নাজিল করেন, তার দশটি গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হয় এবং তার জন্য দশটি মর্তবা বুলন্দ করা হয়। (নাসায়ী শরিফ)। হজরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) বলেন, নিশ্চয়ই বান্দার দোয়া-মোনাজাত আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলানো থাকে, তার কোনো কিছু আল্লাহপাকের নিকট পৌঁছে না যতক্ষণ না বান্দা তোমার নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করবে। (তিরমিজি শরিফ)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দরুদ শরিফের আমল কাল কিয়ামতের পুলসিরাতের অন্ধকারে আলোর কাজ করবে। যে ব্যক্তি জুমার দিন আমার প্রতি ৮০ বার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহপাক তার ৮০ বছরের ছগিরা গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। হযরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মানুষের যে দল কোনো মজলিসের কাজ শেষ করে আল্লাহপাকের জিকর ও দরূদ পাঠ না করে সেখানে থেকে উঠে পড়বে তাদের ওই মজলিস তাদের জন্য দুঃখ-কষ্টের কারণ হবে। হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কৃপণ ওই ব্যক্তি যার নিকট আমার নাম উচ্চারিত হলো, কিন্তু সে আমার নাম শুনে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না। (তিরমিজি শরিফ) আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি বেশি বেশি করে দরূদ পাঠ করার তওফিক দিন। (আমিন)