“তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন এবং এরপর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উতপন্ন করেছি, অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উতপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি,যা নুয়ে থাকে এবং আঙ্গুরের বাগান,জয়তুন,আনার প্রভৃতির কোনো কোনোটির পরস্পরের সঙ্গে মিল রয়েছে এবং কোনো কোনোটির মিল নেই। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য করো- যখন সেগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্কতার প্রতি লক্ষ্য করো। নিশ্চয়ই এগুলোতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদারদের জন্য।” -সূরা আন’আম (আয়াত-৯৯)।
আগের আয়াতে সব মানুষের একটিমাত্র উতসের কথা বলা হয়েছে। এ আয়াতে সব ধরনের উদ্ভিদ ও লতা-গুল্ম সৃষ্টির একক উতস তথা পানির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বৃষ্টির পানি এবং অঙ্কুরোদ্গমের ক্ষমতা রয়েছে আল্লাহরই হাতে। মানুষ বীজ থেকে অঙ্কুর বের হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করতে পারে মাত্র, মূল কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এ ছাড়া, এ আয়াতে আঙ্গুর ও খোরমা ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যান্য ফলের তুলনায় এ দু’টি ফলের উপকারিতা অনেক বেশি।
এ আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো :
এক. গাছ-পালা ও ফল-মূলের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক শুধু বস্তুগত ও খাদ্যসামগ্রী হিসেবে ব্যবহারের মধ্যে সীমিত থাকা উচিত নয়। বরং, এ ব্যাপারে গভীর চিন্তাভাবনা করা উচিত এবং আল্লাহর অস্তিত্ব উপলব্ধি করার মাধ্যম হওয়া উচিত। পেটের মতো মস্তিস্কেরও উচিত এসব ফল থেকে শক্তি গ্রহণ করে তা আল্লাহকে আরো বেশি চেনার কাজে ব্যবহার করা।
দুই. প্রকৃতির প্রতি ভাসা ভাসা দৃষ্টিতে তাকানো উচিত নয়। গভীরভাবে এ সৃষ্টিরহস্য সম্পর্কে ধারণা লাভের মাধ্যমে আল্লাহ’র প্রতি আরো বেশি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।