“(হে নবী!) এই (নবী-রাসূলরা) ছিলেন এমন ব্যক্তি যাঁদেরকে আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেছিলেন। অতএব, আপনিও তাঁদের পথ অনুসরণ করুন। আপনি (মানুষকে) বলে দিনঃ আমি তোমাদের কাছে এর জন্যে (তথা খোদায়ী রেসালাতের জন্য) কোন পারিশ্রমিক চাই না। এই কুরআন বিশ্ববাসীর জন্যে একটি উপদেশ মাত্র। (জ্ঞানীরা যেন শিক্ষা বা উপদেশ গ্রহণ করে সেটাই আমি চাই।)” -সূরা আন’আম (আয়াত-৯০)।
বিশ্বনবী (সা.)’র রেসালাত যে অতীতের নবী-রাসূলদের মিশনেরই ধারাবাহিকতা ও সেইসব মিশন থেকে বিচ্ছিন্ন বা নতুন কিছু নয় তা এই আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে বলছেন, এ বিষয়টি মানুষের কাছে তুলে ধরে বল যে জনগণকে সর্তক করা ও পথ দেখানোই আমার কাজ। তোমাদের কাছে আমি টাকাও চাই না, বা অন্য কিছু পাওয়ারও আশা করছি না।
এ আয়াত থেকে মনে রাখা দরকার:
এক. কোনো নতুন নবী আসার অর্থ এ নয় যে অতীতের নবীদের আহ্বান বা দাওয়াত বাতিল হয়ে গেছে। বরং প্রত্যেক নবী ও সব খোদায়ী ধর্মই একত্ববাদের শিক্ষা প্রচার করেছে। কেবল কর্মপন্থা ও ধর্মীয় আইন বা বিধি-বিধানগত কিছু পার্থক্য ছিল।
দুই. উপদেশ ও সতর্ক করা বা সমালোচনা করাই নবী-রাসূলের দাওয়াতের পদ্ধতি। জোর করে মানুষকে ঈমানের পথে আনা তাঁদের দাওয়াতের পদ্ধতি ছিল না।
তিন. পার্থিব বা বস্তুগত স্বার্থ হাসিল নবী-রাসূলদের দাওয়াতের উদ্দেশ্য ছিল না। তাই ধর্ম প্রচারকদের উদ্দেশ্যও তা হওয়া উচিত নয়।