ফেসবুক চর্চাকারীদের সবচেয়ে বড় গ্রুপ ৩০ বছর বয়সীরা। সোশাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল ম্যাককুইন জানিয়েছেন, টিনেজাররা ফেসবুক বাদ দিয়ে টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ও স্ন্যাপশটে মনোযোগী হচ্ছে। এই প্রবণতাকে তিনি আখ্যায়িত করেছেন, ‘লিভাইস এফেক্ট’ হিসেবে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘একটা সময় ছিল যখন লিভাইসের জিন্স পোষাক কিশোর-কিশোরীদের কাছে খুব জনপ্রিয় ছিল। এটি ছাড়া তাদের চলতো না। কিন্তু যখনই তাদের বাবা-মা লিভাইস পরিধানে মনোযোগী হলো, তারা তা বাদ দিতে থাকলো।’
ফেসবুকের বেলাতেও এমন পরিস্থিতি শুরু হয়েছে বলে মনে করেন ম্যাককুইন। ২০১২ সালে টিনেজারদের মুখ্য সোশাল মিডিয়া ছিল ফেসবুক। তবে এ বছর সে স্থান অধিকার করেছে টুইটার। টিনেজাররা যত বেশি ফেসবুক পরিত্যাগ করছে, তিরিশ ও তিরিশোর্ধরা ততবেশি এখানে ভিড় করছে।
ম্যাককুইন সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে জানান, ২০১০ সাল থেকে কিছুটা বয়স্করা ফেসবুকে যুক্ত হতে থাকে। এর মধ্যে প্রচুরসংখ্যক মা-বাবা রয়েছেন, যাদের উদ্দেশ্য টিনেজার সন্তানদের উপর ‘গোয়েন্দা নজরদারী’ করা। স্মার্ট ছেলেমেয়েরা তা বুঝতে পেরে সটকে পড়তে থাকে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, মা-বাবারা এখন নিয়মিত লগইন করেন তাদের স্কুল জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। এছাড়া একটা অংশ প্রবাসে থাকার কারণেও তারা ফেসবুকের উপর বেশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন।