জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের মুক্তি চেয়েছেন দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া নেতা কাজী জাফর আহমদ। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে কাজী জাফর বলেন, ‘এ কথা দিবালোকের মতো সত্য যে এরশাদ তাঁর সর্বদলীয় সরকারে যোগদানের এবং সংসদীয় নির্বাচনে দলের সদস্যদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় সরকার বিক্ষুব্ধ হওয়াতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এরশাদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন কাজী জাফর।
গত ২৮ নভেম্বর কাজী জাফর আহমদ বলেন, ‘এরশাদ জাতীয় পার্টির পিতৃত্ব দাবি করতে পারেন না।’ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই তিনি এরশাদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ শুরু করার কথা জানিয়েছিলেন।
অনেকে মনে করেন, অর্থ ও ভিনদেশি একটি রাষ্ট্রের চাপে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেছেন এরশাদ। দেশটির প্রভাব এতটাই যে চীন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীন দেখতে চায়।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে এরশাদকে তাঁর বারিধারার বাসা থেকে র্যাব নিয়ে যায়।
র্যাব-১-এর পরিচালক কিসমত হায়াত রাত পৌনে ১২টায় প্রথম আলোকে বলেন, এরশাদকে আটক করা হয়নি। তিনি চিকিত্সার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যাচ্ছেন। র্যাব তাঁকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।
আজ সকালে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সর্বদলীয় সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের বলেন, ‘সকালে আমি ও আমাদের দলের মহাসচিব দুজনে সিএমএইচে গিয়েছিলাম। পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।’
এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের বলেন, ‘সিএমএইচ কর্তৃপক্ষ বলেছে, এরশাদ সাহেবকে আরও দু-এক দিন রাখা হবে। তবে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে উনি যখন ফিরে আসতে চাইবেন আসতে পারবেন।’