বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মেয়র ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতরাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, উত্তরার ৪নং সেক্টরের ১৫ নং রোডের ১৮নং বাড়ি থেকে বিএনপি নেতা খোকাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় আরিফুল ইসলাম নামে আরেক বিএনপি কর্মীকেও আটক করা হয়। বাড়িটি সাদেক হোসেন খোকার নিকট আত্মীয়ের বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলাম। এদিকে সাদেক হোসেন খোকার পরিবার সূত্র জানায়, রাত ১২টার দিকে উত্তরায় র্যাব-১ যান খোকার স্ত্রী ইসমত আরা বেগম। তবে র্যাব গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করেনি। গ্রেপ্তারের পর তাকে ডিবি কার্যালয়েও নেয়া হয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করেনি। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সামপ্রতিক হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীতে সংঘটিত নানা সহিংসতার ঘটনায় কয়েকটি মামলায় তাকে আসামি করেছে পুলিশ। এর মধ্যে গত ২৮শে নভেম্বর মৎস্যভবন এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলা, মালিবাগ ও মাতুয়াইলে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায়ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাদেক হোসেন খোকাকেও আসামী করা হয়। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এর আগে সর্বশেষ গত মার্চ মাসে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তবে পরদিন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিএনপি’র উদ্বেগ ও প্রতিবাদ: এদিকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাকে গ্রেপ্তারের উদ্বেগ প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলের মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সালাহউদ্দিন আহমেদ গতরাতে অজ্ঞাতস্থান থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনে জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জড়িয়ে ঘটনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিবৃতিতে বলা হয়, এভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে আন্দোলন দমানো যাবে না। বরং আন্দোলন আরও বেগবান ও তীব্র হবে। সাদেক হোসেন খোকাসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি না দিলে জনগণের যে বাঁধভাঙ্গা আন্দোলন চলছে তা আরও শক্তিশালী হয়ে সরকারের পতন তরান্বিত করবে।