ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়েই রফা করতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’কে। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে সুপার লিগের দলগুলোকে দেওয়া হবে ৩৫ লাখ টাকা করে। আর বাকিদলগুলো পাবে ২৫ লাখ টাকা করে।
বিসিবির কাছ থেকে এত টাকা পাওয়ার পর ক্লাব কর্মকর্তারা বেজায় খুশি। এখন আর খেলোয়াড়দের টাকায় ভাগ বসাবেন না তারা। তবে পরের বছর থেকে চুক্তিতে ধারা যুক্ত করে দেওয়া হতে পারে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোকে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে স্থায়ী আয়ের একটা সুযোগ করে দিতে রাজি হয়েছেন বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। বিসিবির দিক থেকে এমন প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর ক্লাব কর্মকর্তাদেরকে কাছে এখন মনে হচ্ছে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। একজন ক্লাব কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন,‘বিসিবি সভাপতি খুবই আন্তরিক ছিলেন। আমরাও তার প্রতি সম্মান দেখিয়েছি। এবছর ক্রিকেটারদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছি না আমরা। যেহেতু আগেই সব হয়ে গেছে সেজন্য দেশের স্বার্থে আমরা মেনে নিয়েছি।’
মোহামেডান ক্লাব পরিচালক (প্রশাসন) লোকমান হোসেন ভূঁইয়া দ্বিপাক্ষিক আলোচনাকে সফল বলে দাবি করছেন,‘আমার মনে হয় যা হয়েছে সবই ইতিবাচক। দেশের সম্মানের দিকটি আমাদের মাথায় ছিলো। ক্লাব কর্মকর্তারাও ভালো ভূমিকা রেখেছে। বিসিবি নমনীয় থেকে বিষয়টিকে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছে।’
ক্লাবকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদনের জন্য রাতে জরুরী বৈঠকে বসেন বিসিবি কর্মকর্তারা। সভায় টাকার বিষয়টি অনুমোদনও করা হয়। কারণ সভার সভ্যগণদের বেশির ভাগই তো ক্লাব কর্মকর্তা। বিসিবি সভাপতি মোস্তফা কামাল, জালাল ইউনুস, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, জিএস হাসান তামিম এবং আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি আবাহনীর কর্মকর্তা। দেওয়ান শফিউল আরেফিনের ক্লাব কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। মাহাবুবুল আনাম এবং শফিকুর রহমান মুন্না ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের। আরও যারা আছেন তাদের প্রত্যেকেরই ক্লাব পরিচিতি আছে। আতএব ক্লাবগুলোকে বিপিএলের ভাগ বুঝিয়ে দিতে তারা অকৃপন। টাকা যাবে বিসিবির কোষাগার থেকে তাদেরই ক্লাবে। সরাসরি যা সম্ভব হতো না এখন ক্লাবের ব্যানারে তা হয়ে গেলো!
অথচ এই ক্লাব কর্মকর্তারাই দুইদিন আগে পর্যন্ত বিপিএলের নিন্দে করেছেন। ক্লাব সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মঞ্জুরুল কাদের চৌধুরী জোর গলায় বলেছেন বিপিএলের মাধ্যমে দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করা হচ্ছে। কয়েকজন কর্মকর্তা লোপাট করছে বিপিএলের মাধ্যমে। এখন সেই ক্লাবগুলোই বিপিএলের অর্থের ভাগ নিচ্ছে! দুই দিন আগে যা অবৈধ ছিলো সেই বিপিএল এখন বৈধ টুর্নামেন্টের স্বীকৃতি পাচ্ছে ক্লাব কর্মকর্তাদের কাছে।