চলতি বছর ৩ জুন মুম্বাইয়ের জুহুতে নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃতদেহ। সেই মৃত্যু রহস্যে নতুন মোড় নিয়ে এলো ফরেনসিক রিপোর্ট ।
কালিনা ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট অনুযায়ী, জিয়ার আঙুলের নিচে মানুষের মাংস ও রক্তের দাগ মিলেছে। সঙ্গে জিয়ার অন্তর্বাসেও রক্তের দাগ মিলেছে। এটা থেকে অনেকটাই পরিষ্কার আত্মহত্যা নয়, তাকে খুন করা হয়েছে। নতুন করে তদন্ত শুরুর দাবি উঠছে।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সেদিন ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই বাড়িতে ঢোকেন জিয়া খান। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দেখা গিয়েছে, নাইট গাউন পরেছিলেন জিয়া। তার মা রাবিয়ার প্রশ্ন ছিল, মৃত্যুর আগে কেউ কি পোশাক পরিবর্তন করে? সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল জিয়ার দেহ।
জিয়ার মা প্রশ্ন তোলেন, ফ্যানের যা উচ্চতা, তাতে জিয়ার পক্ষে তা ছোয়া সম্ভব নয়। অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, বাড়িতে টুল জাতীয় কোনও উঁচু জিনিস ছিল না। তাহলে কী করে ফ্যানের নাগাল পেলেন জিয়া ? পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে জিয়ার পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে বরাবরই অভিযোগ ছিলো, পুরো ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন জিয়ার বন্ধু সুরাজ পাঞ্চোলি।
আদিত্য পাঞ্চালির ছেলে সুরাজ পাঞ্চোলিকে দোষী সাব্যস্ত করে জিয়া খানের সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছিল। অবশ্য পরে সেই সুইসাইড নোটের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
মূল অভিযুক্ত সুরাজ পাঞ্চোলি গ্রেফতার হন ১০ জুন। পরে ১ জুলাই হাইকোর্টের জামিনে মুক্তি পান সুরাজ