প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং বিরোধী দলকে গ্যারন্টি দিতে পারি সে নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আমরা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজেকের সঙ্গে দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে এবং বিকেলে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় জাতিসংঘ মহাসচিবকে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সংসদে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বলেছেন, তিনি জাতির স্বার্থে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। সংসদে আসুন। পরিষ্কার করে বলুন, কী চান?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে দেখেছি প্রত্যেক সিটি মেয়রের জনপ্রিয়তায় কমতি ছিল না, তারা অনেক ভালো কাজ করেছেন কিন্তু তারপরেও তারা নির্বাচনে হেরেছেন। জনগণ কেন ভোট দেয়নি সে কথা জনগণের কাছেই জানতে চাই আমি।
সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারার পেছনে প্রধানমন্ত্রী মিডিয়াকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এ জন্য মিডিয়ারও ভূমিকা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলো নেতিবাচক খবরকেই বেশি প্রাধান্য দেয়, সরকারের অর্জনগুলোকে কখনোই গুরুত্ব দেয় না। আর সে কারণেই সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরো নতুন সদস্য যোগ দেয়ার প্রস্তাব পাওয়া গেছে।