ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির রাজনৈতিক দলের সব মন্ত্রী দেশটির জোট সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। পার্লামেন্টে আগামী সপ্তাহের আস্থাভোটকে সামনে রেখে মন্ত্রিসভার সব সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শনিবার তারা একযোগে পদত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেট্টার এ সংক্রান্ত ডিক্রির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এর আগে বার্লুসকোনি তার মধ্য-ডানপন্থী দল পিপল অব ফ্রিডমের (পিডিএল) মন্ত্রীদের ওয়াক আউট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বার্লুসকোনি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এবং তার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডি) পক্ষ থেকে জোট সরকারের সদস্যদের প্রতি দেয়া চূড়ান্ত সময়সীমা অগ্রহণযোগ্য।”
পিডিএলের বিরুদ্ধে শোডাউনের অংশ হিসেবে ৩০০ কোটি ইউরোর একটি প্যাকেজ বাজেটের পক্ষে সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার পর লেট্টা আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে আস্থাভোটের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় পিডিএলের মন্ত্রীরা কেবিনেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় এখন প্রেসিডেন্ট জর্জিও ন্যাপোলিতানোকে হয় মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে অথবা লেট্টার দলকে নতুন করে জোট সরকার গঠনের সুযোগ দিতে হবে।
অবশ্য প্রেসিডেন্ট ন্যাপোলিতানো শনিবার আভাস দিয়েছেন, তিনি দেশে নতুন নির্বাচন দিতে চান না। ন্যাপেলস শহরে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমাদের এমন একটি পার্লামেন্ট দরকার যেটি বিতর্কের পাশাপাশি কাজ করবে, কিছুদিন পরপর ভেঙে যাবে না।” ন্যাপোলিতানো আরো বলেন, “কয়েকদিন পরপর নির্বাচনি প্রচার দেখতে চাই না আমরা। আমরা চাই সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং দেশের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিক।”
গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে পিডি বা পিডিএলের কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ার পর দল দু’টি মিলে জোট সরকার গঠন করে। প্রেসিডেন্ট ন্যাপোলিতানো সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই মুহূর্তে আরেকটি নির্বাচন দিলে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সংকট আরো বাড়বে; কমবে না। ইউরোজোনের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি সরকারি কোষাগারে তহবিলের ঘাটতির জন্য কঠোর ব্যয় সংকোচন কর্মসূচি হাতে নিতে বাধ্য হয়েছে। সূত্র: আইআরআইবি